বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২১ অপরাহ্ন

২০২৩ সালে যাঁদের হারিয়েছি

বিনোদন প্রতিবেদক / ৮২ জন দেখেছেন
আপডেট : ডিসেম্বর ২৬, ২০২৩
২০২৩ সালে যাঁদের হারিয়েছি
দর্শক ফোরামের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন

বিনোদন অঙ্গনের অনেক মানুষকে চলতি বছর হারিয়েছি। তাঁদের অবদান যেমন সমৃদ্ধ করেছে আমাদের সংস্কৃতি, তেমনি পথ দেখিয়েছে নবীনদের। এ ছাড়াও অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু মৃত্যুও দেখতে হয়েছে। বিনোদন অঙ্গন থেকে চিরবিদায় নেওয়া এমন মানুষদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হচ্ছে এ আয়োজনে—

খালেকুজ্জামান
২১ মার্চ মারা যান টিভি নাটক ও চলচ্চিত্রের অভিনয়শিল্পী বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেকুজ্জামান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। গুণী এই শিল্পীর জন্ম ১৯৫০ সালে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৪ সালে নাট্য ও চারুকলায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন তিনি।

ফারুক
চিত্রনায়ক ও সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক মারা যান ১৫ মে। চলতি বছরের সংস্কৃতি অঙ্গনের সবচেয়ে বড় ক্ষতি তাঁর চলে যাওয়াটা। তিনি শুধু অভিনেতা বা রাজনীতিকই নন, ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা। এবং সংস্কৃতি পরিবরের অভিভাবক। তিনি দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন সিঙ্গাপুরে। মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে টানা দুই বছর চলেছে তাঁর চিকিৎসা। উচ্চ রক্তচাপ, মস্তিষ্ক, স্নায়ুতন্ত্রের নানা সমস্যায় ভুগছিলেন অভিনেতা ফারুক। ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় আসেন নায়ক ফারুক। অভিনয়ের জন্য ১৯৭৫ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৬ সালে ভূষিত হন আজীবন সম্মাননায়।

মিতা চৌধুরী
৩০ জুন লন্ডনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অভিনেত্রী মিতা চৌধুরী। অভিনেত্রীর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে মেয়ে নাভিন চৌধুরী এক পোস্টের মাধ্যমে তাঁর মৃত্যুর সংবাদ জানান। তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। সত্তর-আশির দশকের জনপ্রিয় এ নাট্যশিল্পী দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকার পর ২০০৬ সালে দেশে ফেরেন। শুরু করেন অভিনয়। তাঁর প্রথম ধারাবাহিকের নাম ‘শান্ত কুটির’। অভিনয়ের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের নাট্যকার মারশা নরম্যানের ‘নাইট মাদার’ অবলম্বনে মিতা চৌধুরী ‘গুড নাইট মা’–এর পাণ্ডুলিপি তৈরি করেন।

রাজীব আশরাফ
১ সেপ্টেম্বর মারা যান বাংলাদেশের জনপ্রিয় গীতিকার ও নির্মাতা রাজীব আশরাফ। দেশের সবচেয়ে প্রতিভাবান গীতিকারদের একজন তিনি। জনপ্রিয় গায়ক অর্ণবের সঙ্গে জুটি বেঁধে বহু শ্রোতানন্দিত গান উপহার দিয়েছেন রাজীব। তার মধ্যে অন্যতম ‘হোক কলরব’ গানটি শূন্য দশকে তরুণদের মুখে মুখে ফিরেছে। তাঁর লেখা জনপ্রিয় একাধিক গান পেয়েছেন এ দেশের শ্রোতারা।

জিনাত বরকত উল্লাহ
২০ সেপ্টেম্বর মারা যান একুশে পদকপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী জিনাত বরকতউল্লাহ। দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতার সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন এ গুণী। চলতি বছরের শুরুর দিকে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ও ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের ধারায় নৃত্যচর্চার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন জিনাত বরকত উল্লাহ। প্রায় ৮০টি টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। নৃত্যে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে ২০২২ সালে একুশে পদক দেয়।

সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী
২১ সেপ্টেম্বর চলে গেলেন ‘ঘুড্ডি’খ্যাত, একুশে পদকপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র নির্মাতা সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকী। ১৯৮০ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার পান সৈয়দ সালাহউদ্দীন জাকী। চলচ্চিত্র নির্মাণ ছাড়াও তিনি শিক্ষকতা করেছেন। তাঁর হাত ধরে উঠে এসেছে বহু নির্মাতা।

তারেক মাহমুদ
২৭ অক্টোবর মারা যান অভিনেতা, নির্মাতা ও কবি তারেক মাহমুদ। নাটকে স্বল্প সময়ের চরিত্রে হাজির হলেও তিনি বেশ সমাদৃত ছিলেন। লিখেছেন বহু চিত্রনাট্য ও কবিতা।

হুমায়রা হিমু
চলতি বছরের সবচেয়ে আলোচিত অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু হলো অভিনেত্রীর হুমায়রা হিমুর আত্মহত্যা। ২ নভেম্বর ছোট পর্দার জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী মারা যান। প্রেমিকের সামনেই সিলিং ফ্যানে ঝুলে পড়েন তিনি। হুমায়রা হিমু ১৯৮৫ সালের ২৩ নভেম্বর লক্ষ্মীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। মঞ্চনাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি প্রথম নাট্যজগতে প্রবেশ করেন। ফ্রেঞ্চ নামক নাট্যদলের হয়ে তাঁর অভিনয়ের হাতেখড়ি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

এ বিভাগের আরো খবর

২১ জুন-23 অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান