হলিউডের নামজাদা অভিনেত্রী শ্যারন স্টোন। আশির-নব্বইয়ের দশকে দর্শক হৃদয়ে ঝড় তুলেছিলেন। করেছেন ‘বেসিক ইন্সটিঙ্কট’, ‘টোটাল রিকল’, ‘সিলভার’র মতো ছবি।
‘ক্যাসিনো’র জন্য অস্কারের মঞ্চে মনোনয়নও পেয়েছিলেন। তবে জনপ্রিয়তা পাওয়ার আগে বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছিলেন অভিনেত্রী। প্রায় চার দশক পরে সেই ঘটনার কথা স্মরণ করতে গিয়েও শিউরে উঠলেন শ্যারন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের জীবনের সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা নিয়ে মুখ খোলেন অভিনেত্রী। জানান, হলিউডের তখন সবে কাজ করা শুরু করেছেন। সেই সময় এক বড় সংস্থার কর্মকর্তা তাঁকে অফিসে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। নতুন কাজের সুযোগ পাবেন, সেই আশায় সেখানে গিয়েওছিলেন শ্যারন। তাঁর পরনে ছিল একটি জ্যাকেট ও ডেনিস স্কার্ট। শ্যারন বলেন, ‘আমি বেশ উৎসাহ নিয়ে অফিসে গিয়েছিলাম। নিচু একটা সোফা রাখা ছিল সেই ঘরে। আমি সেখানে বসেছিলাম, আর আমার সামনে ওই কর্তা পায়চারি করছিলেন। প্রথমে তো আমাকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তার পরেই হঠাৎ করে নিজের বিশেষ অঙ্গ আমার মুখে গুঁজে দেন তিনি। আমি প্রথমে এতটাই ঘাবড়ে গিয়েছিলাম যে কাঁদতে কাঁদতে হেসে ফেলি।’
শ্যারন আরও বলেন, ‘ঘটনায় এতটাই অবাক হয়ে গিয়েছিলাম আমি যে আর কোনও কথা বলতে পারিনি। চুপ করে বসেছিলাম বেশ কিছু ক্ষণ। তারপরে একজন সহকারী এসে আমাকে বাইরে নিয়ে আসেন।’
প্রায় চার দশক পরে এই ঘটনার কথা কেন প্রকাশ্যে আনলেন তিনি? উত্তর দিতে গিয়ে শ্যারন বলেন, ‘আশি-নব্বইয়ের দশকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে তেমন কেউ পাত্তা দিতেন না। সবাই মনে করতেন, বিনোদনের জগতে অভিনেত্রীদের সঙ্গে এমন কিছু হওয়া অস্বাভাবিক নয়।’
২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে শুরুর দিকে মিডিয়া মুঘল প্রযোজক হার্ভে ওয়াইনস্টাইনের বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ প্রকাশ হয়। এরপর আন্দোলন সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যাশট্যাগ হিসেবে ভাইরালভাবে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। ২০১৮ সালে নারীর প্রতি যৌন নিগ্রহ নিয়ে গোটা পৃথিবী সোচ্চার হয়। ‘#মিটু’ আন্দোলন হয়ে উঠে প্রতিবাদের অভিন্ন মঞ্চ। নারীর প্রতি যৌন নিগ্রহর কথা বলতে থাকেন তারকরাও। এরই ধারাবাহিকতায় এবার ভয়াবহ অভিজ্ঞতা তুলে ধরলেন শ্যারন।
You must be logged in to post a comment.