বলিউড অভিনেত্রী লায়লা খানকে পরিবারের পাঁচ সদস্যের সঙ্গে হত্যা করা হয় ১৩ বছর আগে। সে সময় এই হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ ওঠে লায়লার সৎবাবা পারভেজ তাকের বিরুদ্ধে। অবশেষে গত বৃহস্পতিবার পারভেজকেই দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।
২০১১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারী নিখোঁজ হন অভিনেত্রী লায়লা খান ও তাঁর পরিবারের পাঁচ সদস্য। প্রায় এক বছর পর, ২০১২ সালের জুলাই মাসে ইগতপুরীতে অভিনেত্রীর ফার্ম হাউসের একটি গর্ত থেকে উদ্ধার করা হয় মরদেহ। এরপর এই ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশ গ্রেফতার করে লায়লার মা সেলিনার তৃতীয় স্বামী পারভেজ তাককে।
১৩ বছর পর ৪০ জন সাক্ষীর সাক্ষগ্রহণ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার পারভেজকে দোষী সাব্যস্থ করে মুম্বইয়ের সেশন কোর্ট। আগামী ১৪ মে সাজা ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছে আদালত। যদিও এই নৃশংস হত্যাকান্ডের জন্য পারভেজের সর্বোচ্চ সাজা চেয়েছে ক্রাইম ব্রাঞ্চ। এই ঘটনায় আরেক অভিযুক্ত শাকির হোসেন ওয়ানি এখনও জেলবন্দি রয়েছে।
পারভেজ একাধিক কেসে অভিযুক্ত মোস্ট ওয়ান্টেড শাকিরকে ফার্মহাউসের নিরাপত্তার দায়িত্বে রেখেছিল। তদন্তসূত্রে জানা যায় লায়লার কাছে শাকিরের আসল পরিচয় গোপন রেখেছিল পারভেজ।
তদন্তে জানা গিয়েছিল, লায়লার বিপুল সম্পত্তি হাতানোর ষড়যন্ত্রে ৭ ফেব্রুয়ারি লায়লা ও তাঁর পরিবারকে নিয়ে ফার্মহাউসে গিয়েছিল তৃতীয় সৎ বাবা। এরপর স্ত্রী সেলিনার সঙ্গে তাঁর তর্ক বাধে। তখনই একটি ভোঁতা বস্তু দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করে পারভেজ। পরে পরিবারের অন্য সদস্যরা তাঁকে বাধা দিতে এলে শাকির এবং পারভেজ দুজনে মিলে একে একে সকলকে হত্যা করে।
তারপর বাগানে দেহগুলি পুঁতে দিয়ে ফার্মহাউসে আগুন লাগিয়ে দেয়। একবছর পর ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসাররা ওই পরিত্যক্ত ফার্মহাউসে তদন্ত করতে গিয়ে মাটি খুঁড়ে দেহগুলো সেখান থেকে উদ্ধার করে।
You must be logged in to post a comment.