ভারতের তুমুল জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আদনান সামির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তিনি তার দ্বিতীয় স্ত্রীর পর্নো ভিডিও বানিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছেন তার ভাই জুনায়েদ সামি খান। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
জুনায়েদের দাবি, আদনান ‘মিথ্যেবাদী’। তার কথায়, আদনান দ্বিতীয় স্ত্রীর আপত্তিজনক ভিডিও তৈরি করেছে তা আদালতে পেশ করতে। শুধু তাই নয়, নিজের জন্ম থেকে শিক্ষাগত যোগ্যতা সবকিছু নিয়ে মিথ্যা কথা বলে বেড়ান তিনি। জেলে হেফাজতেও নাকি যেতে হয়েছে আদনানকে দাবি জুনায়েদের।
পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এই গায়ক কেন ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েছেন তা নিয়েও চাঞ্চল্যকর দাবি জুনায়েদের।
ভাইয়ের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে জুনায়েদ লেখেন, ‘আমি আল্লাকে ছাড়া কাউকে ভয় পাই না। আমার দাদার আসল চেহারাটা তুলে ধরা জরুরি। এই কাজ করতে আমার ভালো লাগছে না, তবুও সবার সত্যিটা জানা উচিত। আমি ওর মতো মিথ্যা বলতে পারি না।’
জুনায়েদ দীর্ঘ সেই পোস্টে লেখেন, ‘আদনানের জন্ম ১৯৬৯ সালের ১৫ আগস্ট, রাওয়াল পিন্ডির হাসপাতালে। আমিও ওই হাসপাতালেই জন্মেছি ১৯৭৩ সালে। তাই ও যে বলে বেড়ায় ওর জন্ম ইংল্যান্ডে, সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা।’
জোনায়েদের দাবি, শুধু নিজের জন্ম পরিচয় নিয়েই নয়, শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও ভুল তথ্য পেশ করেছেন তার ভাই।
জুনায়েদের কথায়, ইংল্যান্ডে ডিগ্রি অর্জন করতে গিয়ে ফেল করেন আদনান, এরপর লাহোর থেকে শংসাপত্র জাল করেন। পরে আবুধাবি থেকে ‘এ লেবেল’-এর ডিগ্রি অর্জন করেন প্রাইভেটে।
এরপর দাদার নামে সবচেয়ে বড় বোমাটি ফাটান জুনায়েদ। তার অভিযোগ, ২০০৭-২০০৮ সাল নাগাদ দ্বিতীয় স্ত্রী সাবাহ গালাদারির ‘পর্নো ভিডিও’ বানান আদনান। তার কথায়, ‘স্বামী-স্ত্রী নিজেদের ঘনিষ্ঠ ভিডিও শুট করতেই পারেন, তবে সেটা নিজেদের মধ্যে রাখা উচিত! আদনান সেটা কোর্টে পেশ করে গোটা ভারতকে দেখার সুযোগ করে দেয়, আর মিথ্যা বলে যে, সেটা ও বানায়নি বরং বানিয়েছে সাবাহর প্রেমিক! সব মিথ্যা! আমি তো শুনেছিলাম কোর্টে সাবাহ জ্ঞান হারিয়েছিল।’
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় স্ত্রী সাবাহর সঙ্গে বিয়েবিচ্ছেদের পর ২০১০ সালে রোয়া ফারাবিকে বিয়ে করেন আদনান।
নিজের সংগীত ক্যারিয়ারের ব্যর্থতার দায়ও আদনানের ঘাড়ে চাপান জুনায়েদ। লেখেন, ‘সবাই বলত আমি ওর চেয়ে ভালো গান গাই। কিন্তু কোনোদিন আমার পরোয়া করেনি দাদা, একটা স্বার্থপর মানুষ। খুব বাজে চরিত্রের মানুষ, হয়ত ও ভয় পেত আমি ওকে ছাপিয়ে যাব। আমার ক্যারিয়ার যে কোনোদিন গতি পায়নি, তার জন্য শুধু আদনান সামি দায়ী।’
তার অভিযোগ, টাকার লোভে ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েছেন আদনান। তাদের মা, ভারতীয় বলে যে দাবি করেন আদনান, সেটাও মিথ্যা। আদনানের ভাইয়ের এই পোস্ট মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।
অনেকেই লেখেন, দাদার নামে কুৎসা রটানোর চেষ্টা করছেন জুনায়েদ। পালটা তোপের মুখে পড়ে ওই পোস্ট মুছে ফেলেন জুনায়েদ। যদিও সেই পোস্টের স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
You must be logged in to post a comment.