পাকিস্তানি টিকটকার ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হারিম শাহ আরও একবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন। বিতর্ক যেন তার পিছু ছাড়ে না। সম্প্রতি তার একটি এমএমএস সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে ফের আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন তিনি।
একটি ভিডিয়ো-বার্তায় তিনি নিজেই এই ঘটনার কথা জানিয়েছেন। আনন্দবাজারে প্রকাশ, তার দুই টিকটকার বান্ধবীর এই ভিডিও ফাঁস করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। গত ১ মার্চ এই ভিডিওটি ইন্টারনেটে আপলোড করা হয়।
হারিম বলেন, তাঁর বান্ধবী সান্দাল খট্টক ও আয়েশা নাজ তার র ফোন থেকে ভিডিওটি চুরি করে আপলোড করেছে। তিনি আরও বলেন, এর আগে তাঁর বান্ধবীরা বেশ কিছুদিন তার বাড়িতে একসাথে থেকেছে তাই তাঁর মোবাইলের পাসওয়ার্ড তারা জানত।
স্নানের দৃশ্যের ওই ভিডিওটিতে হারিমের সঙ্গে অন্য একজন পুরুষকে দেখা যাচ্ছে। যদিও তাকে শনাক্ত করা যায়নি। ভিডিয়োটি কয়েকবছর আগে করা বলেও জানান হারিম। তাঁর ওই ভিডিয়োটি ভাইরাল হওয়ার পরেই সোশ্যাল মিডিয়াতে ক্রমাগত ট্রেন্ডিং-এ থাকতে শুরু করেন তিনি। ওই পাকিস্তানি টিকটকার সম্প্রতি বিলাল শাহের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিলাল জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রীর বান্ধবীদের বিরুদ্ধে কড়া আইনী ব্যবস্থা নেবেন তিনি। ঘটনার প্রেক্ষিতে তিনি তাঁর স্ত্রীর বান্ধবীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
হারিম বলেন, তাঁর বিবাহিত জীবন খারাপ করার উদ্দেশ্যেই ভিডিয়োটি আপলোড করা হয়েছে।
হারিম শাহ পাকিস্থানের সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের মধ্যে এক শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্ব। ইন্সটাগ্রামে তার ২ লাখ ৯৭ হাজারের বেশি ফলোয়ার্স রয়েছে। টিকটকেও তার ফলোয়ার্স সংখ্যা ১ লাখ ৮৬ হাজারের বেশি। সোশ্যাল মিডিয়াতে যথেষ্ট অ্যাকটিভ তিনি। তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে বিভিন্ন ভ্লগ আপলোড করেন। যদিও তিনি পরিচিতি পান ২০১৯ সালের বিতর্কের পর।
প্রসঙ্গত, হারিম এর আগে অনেকবার বিতর্কের মুখে পড়েছেন। ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে পাকিস্থানের বিদেশমন্ত্রকের ঘরে ভিডিও করায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। পাকিস্থানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ওই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এছাড়াও ২০২১ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তানি রাজনৈতিক নেতা মুফতি আবদুল কাভিকে চড় মেরেছিলেন তিনি। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহল তোলপাড় হয়েছিল। ওই বছরই মার্চ মাসে তাঁর অন্য এক বন্ধুর বিরুদ্ধে শারীরিক নিগ্রহ ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ করেছিলেন হারিম।
You must be logged in to post a comment.