সালমান খানের জনপ্রিয়তা শুধু যে ভারতে সীমাবদ্ধ তা নয়, পাকিস্তানেও বহু ভক্ত রয়েছে তাঁর। তাদের মধ্যেই একজন নিজের দেশ ছেড়ে ভারতে চলে এসেছিলেন প্রিয় তারকাকে বিয়ে করবেন বলে। তিনি সোমি আলি। সালমানের ডাই হার্ড ফ্যান ছিলেন পাকিস্তানি মেয়েটি। ভারতে এসে নিজে অভিনয় জগতে পা রেখে সালমানের সঙ্গেও সম্পর্ক গড়ে তোলেন সোমি। আর আজ তাঁকেই ‘মহিলা অত্যাচারকারী’ বলে দাবি করলেন সোমি!
পাকিস্তান থেকে এসে বলিউডে কেরিয়ার গড়ে তুলেছিলেন তিনি। তবে অভিনেত্রী হিসাবে যতটা না জনপ্রিয়তা তিনি পেয়েছিলেন, তার থেকে বেশি পরিচিত হন সালমানের বান্ধবী হিসাবে। বেশ কিছুদিন সম্পর্কে থাকার পর বিচ্ছেদ হয়ে যায় দুজনের। এখন আর এ দেশে থাকেনও না সোমি।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় দুটি পোস্ট শেয়ার করেছেন সোমি। প্রথম পোস্টে সালমান অভিনীত ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’র পোস্টার শেয়ার করে লিখেছেন, ‘একজন মহিলা অত্যাচারকারী। আর শুধু আমাকে নয়, আরো অনেককে। একে পুজো করা বন্ধ করুন দয়া করে। একজন দুঃখবিলাসী অসুস্থ মানুষ। আপনাদের কোনো ধারণাই নেই।’
এখানেই শেষ নয়, অপর একটি পোস্টে সালমানের নাম না করে তাঁকে ‘খুনি’ বলে দাবি করেছেন সোমি। তিনি এই ইঙ্গিতও দিয়েছেন, সাক্ষীকেও নাকি খুন করেছেন সালমান! যদিও পরে দুটি পোস্টই মুছে দেন সোমি। কিন্তু ততক্ষণে তাঁর পোস্টের স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়ে গিয়েছে নেটপাড়ায়।
উল্লেখ্য, এর আগেও ইঙ্গিতে পরোক্ষ ভাবে সালমানকে অত্যাচারী বলেছিলেন সোমি। গার্হস্থ্য হিংসার বিরুদ্ধে সরব হওয়ার জন্য সালমানের আরেক প্রাক্তন ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের প্রশংসাও করেছিলেন তিনি। বছর কয়েক আগে এক সংবাদ মাধ্যমকে সোমি জানান, নেপালে যাওয়ার পথে সালমানকে তিনি জানিয়েছিলেন যে তাঁকে বিয়ে করার জন্যই ভারতে এসেছেন সোমি।
সংবাদ মাধ্যমকে সোমি বলেছিলেন, “আমরা নেপাল যাচ্ছিলাম। ওর পাশেই বসেছিলাম আমি। ওর ছবি ওকেই দেখিয়ে আমি বলি, ‘এতদূর তোমাকে বিয়ে করার জন্যই এসেছি’। ও বলল, ‘আমার একজন প্রেমিকা আছে’। কিন্তু আমি পাত্তা দিইনি। আমার বয়স তখন মাত্র ১৬। এক বছর পর আমার ১৭ বছর বয়সে সম্পর্কটা শুরু হয়। সালমানই আমাকে প্রথম ভালবাসার কথা বলেছিল। বেশি পরিশ্রম করতে হয়নি আমাকে।”
You must be logged in to post a comment.