বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী রুমানা রশিদ ঈশিতাকে যারা চেনেন, তাদের অনেকেই জানেন, সময়ের ব্যাপারে তিনি অতিমাত্রায় সচেতন।
৮০’র দশকে ‘নতুন কুঁড়ি’র চ্যাম্পিয়ন ট্রফি হাতে নেওয়ার দিনগুলো থেকে আজ পর্যন্ত ঈশিতা কখনো কাউকে কথা দিয়েছেন, অথচ সময় মতো পৌঁছেননি, এমনটি হয়নি। সেটের অন্য কেউ আসেননি, অথচ ঈশিতা সবার আগে এসে বসে ছিলেন-এমন ঘটনাও রয়েছে।। তবে ঈশিতা জানান, এর ব্যতিক্রম হয়েছিল; দুইবার।
বললেন, ‘‘অস্বাভাবিক ট্র্যাফিক জ্যাম আমাকেও আক্রমণ করেছিল। একবার ঢাকাতেই নাটকের শুটিংয়ে। আরেকবার আসিফ ইকবালের গল্পে ‘কেন’ শিরোনামের একটি নাটকে বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। সে নাটকের শুটিং হবার কথা ছিল ঢাকা-চট্টগ্রাম ফ্লাইটে। কিন্তু সময়ের বেশ আগে রওয়ানা দেওয়ার পরও সেদিন মাত্রাতিরিক্ত যানজটের শিকার হয়েছিলাম। ভেবেছিলাম, জীবনে প্রথম ফ্লাইট মিস করে ফেলবো। তবে সেটি আর হয়নি। আমি যখন হন্তদন্ত হয়ে বিমানবন্দরে পৌছুলাম, আমাকে দেখে সহশিল্পী (আফরান) নিশো চিৎকার করে বলছিল, ‘ঈশিতা, জাস্ট দৌঁড়াও’।’’
মজার এই ঘটনাটি রুমানা রশিদ ঈশিতা জানিয়েছেন মাছরাঙা টেলিভিশনের নিয়মিত অনুষ্ঠান ‘রাঙা সকাল’-এর বিশেষ ঈদ আয়োজনে। ‘রাঙা সকাল’-এ প্রথমবার এককভাবে অতিথি হয়ে এসে ঈশিতা জানালেন, সময় সুযোগ হলে এবং মনের মতো চরিত্র পেলে অভিনয় করতে চান তিনি। এমনকি এখন যে ধরনের মানসম্পন্ন সিনেমা নির্মিত হচ্ছে, সেসব সিনেমাতে মনের মত চরিত্র পেলে চলচ্চিত্রেও কাজ করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন ঈশিতা। এর আগে সত্য ঘটনা নিয়ে প্রয়াত আব্দুল্লাহ আল মামুনের ‘বিহঙ্গ’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যরে চলচ্চিত্রেও কাজ করেছেন। ওপার বাংলার কিংবদন্তি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বিপরীতেও বিশেষ একটি ফিকশনে অভিনয় করেছিলেন। যদিও এই কাজটি নিয়ে মিশ্র অনুভূতি রয়েছে ঈশিতার। তিনি বলেন, ‘কাজটি নিয়ে অনেক বেশি প্রত্যাশা ছিল। তবে সেই প্রত্যাশার অনেকটুকুই পূরণ হয়নি। আমার অনুমতি ছাড়াই অন্য একজন অভিনেত্রীকে দিয়ে আমার অভিনীত দৃশ্যের ডাবিং করানো হয়, যা দুঃখজনক।’
রুম্মান রশীদ খান ও লাবণ্য’র সঞ্চালনায়, জোবায়ের ইকবালের প্রযোজনায় ‘রাঙা সকাল’-এর এই বিশেষ পর্বটি প্রচারিত হবে ঈদের ৪র্থ দিন, সকাল ৭টায়।
You must be logged in to post a comment.