দেশের খ্যাতিমান সংগীত পরিচালক আজাদ রহমান। ষাটের দশকে সংগীত ভুবনে পা রাখেন তিনি। সিনেমার অসংখ্য কালজয়ী গানের সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন রবীন্দ্রভারতী থেকে উচ্চাঙ্গ সংগীতে স্নাতক অর্জনকারী আজাদ রহমান।
টপ্পা, ঠুমরি, গজল, কাওয়ালী, ধ্রুপদী, খেয়াল ও আধুনিক সংগীতের বিভিন্ন শাখায় কাজ করেছেন এই সংগীত পরিচালক। পিয়ানো ও অর্কেস্ট্রা কম্পোজিশনে ছিলেন অসাধারণ দক্ষ।
১৯৬৪ সালে ঢাকা বেতারে যোগদান করেন তিনি। ১৯৬৯ সালে ‘আগন্তুক’ চলচ্চিত্রে প্রথম সংগীত পরিচালনা করেন। ১৯৭৭ সালে ‘যাদুর বাঁশী’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ সুরকার ও ১৯৯৩ সালে ‘চাঁদাবাজ’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক ও শ্রেষ্ঠ গায়ক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। ১৯৭৬ সালে তিনি জনসচেনতামূলক ‘গোপন কথা নামে’ একটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন।
প্রয়াত আজাদ রহমানের সহধর্মিণী গায়িকা সেলিনা আজাদ গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সুরকারের মুভিটোন স্টুডিওতে ব্যবহৃত ৩৫ মিমি প্রজেক্টর মেশিন, মিকসার মেশিন, ৩৫ মিমি পোর্টেবল এডিটিং মেশিন, ১৬ মিমি পোর্টেবল এডিটিং মেশিন, নিউম্যান মাইক্রোফোন ও মনিটরসহ ৮ মিমি প্রজেক্টর, তৎকালীন সময়ের টাইপ রাইটার, সাউন্ড বক্স, ট্রানজেস্টার টিভি রিসিভার, অডিও রিভার্ব প্রসেসর, ইকোলাইজার (মাল্টি ইফেক্ট প্রসেসর), মিনি অডিও মিক্সার, এমপ্লিফায়ার, এমপি থ্রি, ২টি গিটার, প্রজেক্টর এমপ্লিফায়ার, মাইক্রোফোন স্ট্যান্ড, লং প্লে (এলপি), বিভিন্ন গানের স্পুল টেপ ছোট/বড়, ১৬ মিমি ক্যামেরা, নাগরা থ্রি, এইট ট্র ক্যাসেট রের্কডার, ডিজিটাল কনসোল, ক্যাসেট রের্কডার, বিভিন্ন ধরনের অডিও ক্যাসেট, সিডি, ডিভিডি, বেটাক্যাম, বাংলা খেয়াল প্রশিক্ষণের বই, সনি ডিজিটাল ক্যামেরা বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ মিউজিয়ামের জন্য মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান কাছে হস্তান্তর করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মোফাকখারুল ইকবাল, পরিচালক ফারহানা রহমান, কর্মকর্তাবৃন্দ ও আজাদ রহমানের ছোট ভাই সাজ্জাদ রহমান।
You must be logged in to post a comment.