শিরোনামে থাকেন জিতু কমল। কর্মজীবন ছাড়াও অভিনেতার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চর্চার শেষ নেই। নবনীতা দাসের সঙ্গে সম্পর্কে ফাটল এবং এরপর দু’জনের বিচ্ছেদের সময় থেকেই সেই আলোচনার সূত্রপাত মূলত। জিতু- নবনীতার বিচ্ছেদের পিছনের কারণ হল তাঁদের সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তির আগমন। সেরকমই ইঙ্গিত মিলেছে তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের থেকে। এমনকী ইন্ডাস্ট্রি সূত্রেও একথাই শোনা যায়।
যে সময়, প্রাক্তন এই জুটির বিয়ে নিয়ে অশান্তি চলছি, তখন জিতুর সঙ্গে নাম জুড়েছিল টলি অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের। একের পর এক ছবিতে একসঙ্গে জুটিতে দেখা যাবে জিতু ও শ্রাবন্তীকে। যার জেরে জল্পনা শোনা যায়, টলি নায়িকার কারণেই নাকি বিচ্ছেদ হচ্ছে জিতু- নবনীতার।
নিজেদের দাম্পত্য সম্পর্কে বিচ্ছেদ হতে চললেও, নিজেকে এবং স্বামী- জিতুকে নিয়ে কুৎসা মেনে নিতে সেসময় নারাজ ছিলেন নবনীতা। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছিলেন, “আমি যেটা সকলকে জানিয়েছি, সেটা একদমই আমার ও জিতুর পারস্পরিক সিদ্ধান্ত। এখানে কোনও তৃতীয় ব্যক্তির কোনও রকম কোনও হাত নেই। শ্রাবন্তীদি’র সঙ্গে আমার ভাল সম্পর্ক। লন্ডন থেকে ফিরে শুনছি, বলা হচ্ছে ওঁর জন্য আমাদের বিচ্ছেদ হচ্ছে। একদমই না!”
সম্প্রতি এসকে মুভিজ ঘোষণা করেছে একগুচ্ছ নতুন ছবির। যেখানে রয়েছে জিতু- শ্রাবন্তীর ছবিও। শুক্রবার নিজের সোশ্যাল পেজে সেদিনের অনুষ্ঠানের কিছু ছবি শেয়ার করেন জিতু। যেখানে দেখা যাচ্ছে, তাঁর সঙ্গে পোজ দিয়েছেন শ্রাবন্তী। নিন্দুকদের মুখে ছাই ঘষে ক্যাপশনে অভিনেতা লেখেন, “গুজব আমাকে প্রভাবিত করে না… ও খুব ভাল…।” এই ছবির কমেন্ট বক্সে বিশেষ কিছু না লিখলেও, একটি হার্ট ইমোজি কমেন্ট করেছেন টলি নায়িকা। যদিও এই পোস্ট দেখে মিশ্র প্রতিক্রিয়া নেটিজেনদের। একদিকে যেমন অনেকে প্রশংসা করেছেন, অন্যদিকে কটূক্তি করতেও ছাড়েননি নেটিজেনদের একাংশ।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৬ মে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন জিতু ও নবনীতা। ৮ মে তাঁদের রিসেপশন পার্টিতে হাজির ছিলেন টলিপাড়ার বহু তারকারা।’অর্ধাঙ্গিনি’ ধারাবাহিকের সেটেই তাঁদের প্রথম বন্ধুত্ব। এরপর ধীরে ধীরে গভীর হয় সম্পর্ক। সোশ্যাল মিডিয়ে নজর রাখলেই দেখা যেত দু’জনের নানা আদরমাখা মুহূর্ত। কিন্তু দাম্পত্যে ফাটল ধরে, বিয়ের বছর চারেক পরে ২০২৩ সালে বিচ্ছেদ হয় জুটির।
You must be logged in to post a comment.