জমিদার বাড়ির দুই ছেলে আজাদ ও সাজ্জাদের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে গ্রামের সকলের মধ্যেই অসন্তোষ রয়েছে।গ্রামের মানুষজন তাদের সামনে এসে কিছু না বলতে পারলেও পিছনে নানা কথা বলে। সবাই পিছনে সমালোচনা করলেও এলাকার সচেতন, প্রগতিশীল,লেখক আগুন আজাদকে বিষয়টি সরাসরি বলে, এবং তাদেরকে শুধরে নেওয়ার জন্য তাগিদ দেয়।যা আজাদ ভালোভাবে নিতে পারে না।ফলে এলাকায় আগুনের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য পিছনে লোক লাগিয়ে দেয়। আগুনের প্রেমিকা আলো আগুনকে নানা কাজে সমর্থন ও সহযোগিতা করলেও বিষয়টি নিয়ে কিছুটা চিন্তিত হয়ে পরে।এদিকে আজাদের স্ত্রী রাহেলা তার ননদ সালেহাকে তার পক্ষে রেখে জমিদার বাড়ির অবশিষ্ট সকল সম্পত্তি নিজেদের করে নেওয়ার বিভিন্ন ফন্দি বের করে।সালেহা রাহেলার লোভের সুযোগ নিয়ে নিজের আখের গুছিয়ে নিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যায়।
আগুন তাদের অনিয়মের চুড়ান্ত পর্যায় দেখে জমিদার বাড়ির বহু বছরের আশ্রিত মতিকে জানায়।মতি ব্যাপারটা বুঝতে পেরে আজাদ ও সাজ্জাদকে সকলের যথাযথ পাওনা বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য বললে তারা মতির উপর চড়াও হয় এবং বোন সালেহার কুটকৌশল কাজে লাগিয়ে মতিকে চোর বানিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।আগুন তাদেরকে সতর্ক করে এবং তারা তাদের অপরাধের ফলভোগ করবে বলে চলে যায়।
হঠাৎ সাজ্জাদ আগুনকে একটা চিরকুট দিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। আগুন পুরো ঘটনাটি লিখে রাখলেও লেখাটা আড়াল করে রাখে। অনেক বছর পরে সাজ্জাদের ছেলে যাদু মিয়া বাবার বলে যাওয়া কথায় আগুনের সাথে দেখা করার জন্য এসে সাজ্জাদে মৃত্যুর খবর দেয়।আগুন যাদু মিয়াকে তার আড়াল করা লেখা শুনায় এবং মতির তত্ত্বাবধানে থাকা তার পরিবারের অপরাধ বোধে পাগল হওয়া আজাদ, সালেহা ও রাহেলার কাছে নিয়ে যায়।
নাটকটির চিত্রনাট্য করেছেন জুয়েল এলিন এবং পরিচালনা করেছেন জাকিউল ইসলাম রিপন। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন, সাব্বির অর্ণব, মাহিমা, মৃদুল হাসান হৃদয়, আজিজুর আজাদ, জান্নাত, মম, অন্যান্য শিল্পী। আরটিভিতে নাটকটি প্রচার হবে ১৪ অক্টোবর রাত ৮টায়।
You must be logged in to post a comment.