দেশের শোবিজ অঙ্গনের নন্দিত মুখ জয়া আহসান। সুনিপুণ অভিনয়ের জাদুবলে দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে ওপার বাংলার দর্শকের মনেও নিজের স্থায়ী অবস্থান তৈরি করে নিয়েছেন জয়া। শুধু কি তাই, টলিউডের সীমানা পেরিয়ে বলিউডেও শুরু হয়েছে তার পদচারণা। বলিউডের গুণী নির্মাতা অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরীর ‘কড়ক সিং’ এ অভিনয় করার পর এবার এই নির্মাতার টলিউডের সিনেমা “ডিয়ার মা” অভিনয় করছেন জয়া আহসান। সম্প্রতি এই সিনেমার ইনডোর শুটিং শেষ করে আউটডোর শুটিংয়ে গেলেন জয়া-চন্দন আর তাদের ‘মেয়ে’।

বেশ কিছুদিন ধরেই কলকাতা শহরে সিনেমার সেটে ‘ডিয়ার মা’ সিনেমার শুটিং হচ্ছিল। এবার শহরে শুটিং সেরে অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরীর ‘ডিয়ার মা’ এর টিম নিয়ে গেলেন তাজপুর সমুদ্র সৈকতে। এখানে শুরু হল সিনেমার তিন দিনের আউটডোর শুটিং। বুধবার থেকে সেখানেই শুটিং শুরুহয়েছে ‘ডিয়ার মা’-এর। এর আগে দিন কয়েক তিনি টলিগঞ্জের স্টুডিয়োয় টানা শুটিং সেরেছেন। এ বার আউটডোর শুটে ব্যস্ত গোটা টিম।

তাজপুরে শুটিং কেমন হচ্ছে সে প্রসঙ্গে অনিরুদ্ধ বলেন, ‘‘এখানে আবহাওয়া অনেক আরামদায়ক। ততটাও গরম নেই। সন্ধ্যার পরে সমুদ্র থেকে একটা ঠান্ডা বাতাস উঠে আসে। সেই হাওয়া গায়ে মেখে আমরা শুটিংয়ে ব্যস্ত।’’

কিছু গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্যের জন্য তাজপুরে উপস্থিত জয়া ও চন্দন। এই ছবির মুখ্য দুই অভিনেতা। তাদের সঙ্গী হয়েছে তাদের পর্দার মেয়ে। শিশু অভিনেতার নাম অবশ্য পরিচালক এখনো জানান নাই। যেমন জানাননি, ঠিক কী ধরনের দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করছেন তিনি। তিনি শুধু জানিয়েছেন, মা-বাবা আর মেয়ের সঙ্গে সমান্তরাল ভাবে অন্য সম্পর্কও জায়গা করে নেবে ছবিতে। আউটডোরে তিন চরিত্রের সম্পর্ককে ক্যামেরায় বন্দি করা হবে। পরিচালকের দাবি, খুবই গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্যগ্রহণ চলছে।

তাজপুর ছাড়াও এই সিনেমার এরপরের শুটিং হবে মন্দারমণিতে। অনিরুদ্ধ জানিয়েছেন, শুক্রবার পর্যন্ত শুটিং করবেন তিনি। সম্প্রতি, এই ছবির শুটিং দেখতে মুম্বাইথেকে কলকাতায় উড়ে এসেছিলেন অভিনেত্রী অহনা কুমরা। অনেকের ধারণা তাকেও অতিথি চরিত্রে দেখা যাবে। কিন্তু পরিচালক বিষয়টি অস্বীকার করে গিয়েছেন। এ বিষয়ে অভিনেত্রী অহনা জানান, ‘অনিরুদ্ধ ও চন্দন তার খুব ভাল বন্ধু। তাদের সঙ্গে দেখা করতেই কলকাতায় এসেছিলেন তিনি।’

ডিয়ার মা’ ছবিতে জয়া আহসান ও চন্দন রায় সান্যাল ছাড়া আরো অভিনয় করছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও তামিল-মালায়ালম ছবির জনপ্রিয় অভিনেত্রী পদ্মপ্রিয়া ও অনুভা ফতেপুরিয়াও ছবির অন্যতম আকর্ষণ।