স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রাচ্যনাট আয়োজন করতে যাচ্ছে ‘মহলা মগন’ উঠান নাটকের মেলা ২০২০। ‘অবসাদ বিরুদ্ধ স্রোত’ স্লোগান নিয়ে মাসব্যাপী এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হবে কাঁটাবনের প্রাচ্যনাটের নিজস্ব মহড়া কক্ষে। আগামী শুক্রবার সন্ধ্যা এই আয়োজনের উদ্বোধনী পর্বে উপস্থিত থাকবেন নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের সেগ্রেটারী জেনারেল কামাল বায়েজিদ।
উদ্বোধনী সন্ধ্যায় মঞ্চায়িত হবে ‘দ্য জু স্টোরি’। এডওয়ার্ড অ্যালবী’র রচনা থেকে অনুবাদ করেছেন আশফাকুল আশেকীন। মঞ্চে এটি নির্দেশনা দিয়েছেন কাজী তৌফিকুল ইসলাম ইমন। শুক্র ও শনিবার পর পর দু’দিন সন্ধ্যায় সোয়া সাতটায় নাটকটির দুটি প্রদর্শনী হবে। প্রতি প্রদর্শনীতে ২০জন দর্শক নাটক দেখার সুযোগ পাবে। টিকিট মূল্য: ২০০/- (দুইশত টাকা)। টিকিটের জন্য যোগাযোগঃ ০১৭৯০১০৫০৪০ এই নম্বরে।
কাহিনী সংক্ষেপ: দ্য জু স্টোরি নাটকটির সমস্ত ঘটনা কোনো এক রবিবার বিকেলে নিউইয়র্কের সেন্ট্রাল পার্কের বেঞ্চে ঘটতে থাকে। বই প্রকাশনার সাথে যুক্ত পিটার একজন উচ্চ মধ্যবিত্ত ব্যক্তি যার বউ আছে, দুটি মেয়ে আছে, আর আছে দুটি বিড়াল। চল্লিশোর্ধ এই চরিত্রটি পার্কের বেঞ্চে বসে বই পড়তে থাকেন। তার চেয়ে কয়েক বছরের ছোট আরেকজন লোক, জেরি, যেনতেন ধরণের পোশাক পরা এই লোকটি এসে পিটারকে বলে যে সে সেন্ট্রালপার্ক চিড়িয়াখানা থেকে এসেছে। পিটার কোনো উত্তর দেয় না কিন্তু জেরি গায়ে পড়ে কথোপকথন শুরু করতে চায়। কারণ সে ভীষন একা এবং যে কারো সাথে একটু যোগাযোগ তৈরির জন্য সে মরিয়া হয়ে উঠেছে। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই জেরি বিরক্তিকর আচরণ শুরু করে, বিভিন্ন রকম ছেলে মানুষি করতে থাকে আর পিটারের নৈশঃব্দের বিঘ্নতা ঘটাতে থাকে। সে বকবক করতেই থাকে, পিটারকে বলে সিগারেট খেলে ক্যান্সার হবে, বিড়ালের চেয়ে কুকুর পোষা ভালো কারণ বিড়াল পোষা একটা মেয়েলি স্বভাব। পিটারের জীবন এবং আগ্রহ নিয়ে জেরি প্রশ্ন করতেই থাকে। ঘটনাক্রমে পিটার জেরির সাথে কথোপকথনে জড়িয়ে পড়ে এবং এই আগন্তুকের জীবন সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারে।
নির্দেশকের কথা: যখন সমাজ একদিক থেকে কোনকিছু দেখে তখন আসলরুপটা আমাদের নজরে আসেনা। সাজানো (False) ছবি আমাদের ভুল দিকনির্দেশনা দেয়। সত্যিটা আমরা ধরতেই পারিনা। চিড়িয়াখানায় জন্তুরা যখন তাদের দিক থেকে আমাদে দেখে, আমাদের হাসি, হাততালি দেওয়া দেখে হয়তো ভাবে কি হাসি খুশি পরিবার, কি শান্তির জীবন আমাদের। আমরা আমাদের দিক থেকে যখন খাঁচার জন্তুটাকে দেখি ভাবি ভালইতো আছে।
কোন কাজকর্ম নেই, খাচ্ছে দাচ্ছে ঘুমাচ্ছে কিন্তু আসলেই কি ঘটনা সেরকম? এভাবে একদিক থেকে দেখা আমাদের জীবনে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষত তৈরি করতে পারে- করে। ১৯৫০ সাল, আমেরিকার সভ্যতা একটা পরিবর্তনের মুখোমুখি দাড়িয়ে। জু স্টোরি একটা অন্বেষণ, নিজের এবং অন্যান্য সম্পর্কিত। এই শ্রেনি ভিত্তিক সমাজে আমাদের অবস্থান অনুসন্ধান, নিজের অস্তিত্ব সন্ধান এবং প্রকৃতির সাথে সংযোগ স্থাপন নির্দেশক হিসেবে আমার অনুসন্ধান।
নাটকে অভিনয় করেছেন কাজী তৌফিকুল ইসলাম ইমন এবং আহমেদ সাকি। নেপথ্যে কাজ করছেন সঙ্গীত :রিফাত নোবেল, সঙ্গীত প্রয়োগ : আন্দোলন মিঠুন. অদ্রিজা আমিন, আলোক প্রয়োগ : মোখলেছুর রহমান,ফয়েজ রাকিব, মঞ্চ : তানজিকুন, মঞ্চ অধিকর্তা : শ্রাবণ শামীম ।
নাটক শেষে ২য় পর্বে থাকবে মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক আলোচনা-“মনো সামাজিক বিশ্লেষণ ও বর্তমান” কথা বলবেন অধ্যাপক ডা. সালাহউদ্দিন কাউসার বিপ্লব।
You must be logged in to post a comment.