বলিউড তারকা সালমান খান নাকি একেবারে নারকেলের মতো। অভিনেতার ঘনিষ্ঠজনরা এমনটাই মনে করেন। তাঁদের ভাষ্য, ভাইজানের বাহিরটা শক্ত, কিন্তু ভিতরটা (মন) নরম। সত্যিই তাই! সালমান যে বড় হৃদয়ের মানুষ, ফের তার প্রমাণ দিলেন তিনি।
সালটা ২০১০। একটি শিশুকে বোন ম্যারো (অস্থিমজ্জা) দান করে জীবন বাঁচিয়ে ছিলেন ভাইজান। ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের বরাতে জানা যায়, সালমানই প্রথম কোনো ভারতীয়, যিনি অস্থিমজ্জা দান করেছেন।
সম্প্রতি চিকিৎসক সুনীল পারেখ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নিজের বোন ম্যারো দান করে পূজা নামের এক শিশুর প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন সালমান।
‘দাবাং’ অভিনেতার এমন উদ্য়োগে এগিয়ে এসেছিলেন তাঁর ভাই আরবাজ খানও। চিকিৎসক সুনীল পারেখ বলেন, ‘অস্থিমজ্জার রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় এগিয়ে আসার জন্য আমি সালমান খানকে ধন্যবাদ জানাই। সেই সময় ভাইজান ছোট্ট একটি মেয়ে পূজার কথা খবরের কাগজে পড়েছিলেন। একটি ছোট্ট মেয়ে যার অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন ছিল। তিনি পুরোটাই পড়েছিলেন। দুর্ভাগ্যবশত, সবাই শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে গেলে শুধুমাত্র সালমান এবং আরবাজ নিজেদের অস্থিমজ্জা দান করেন।’
স্বাভাবিকভাবেই সালমানের এমন উদ্যোগে আপ্লুত তাঁর ভক্তরা। প্রশংসায় ভাসছেন অভিনেতা।
এদিকে, প্রাণনাশের হুমকির তোয়াক্কা না করে প্রাণবন্ত মেজাজেই ‘সিকান্দর’ ছবির শুটিং শুরু করেছেন সালমান খান। কঠোর নিরাপত্তার চাদরে শুটিং করছেন পরিচালক এ আর মুরুগাদোস। এই ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন সত্যরাজ। মনে করা হচ্ছে, তিনিই এই ছবির ভিলেন। এ ছাড়া অভিনেতা সুনীল শেঠিকেও দেখা যাবে অন্যতম একটি চরিত্রে।
You must be logged in to post a comment.