সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৫৭ পূর্বাহ্ন

শিল্পীদের জন্য যে কাজটি করতেন ফারুক

বিনোদন প্রতিবেদক / ২৯ জন দেখেছেন
আপডেট : আগস্ট ১৮, ২০২৪
ফারুকের মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না ববিতা
দর্শক ফোরামের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন

রুপালি পর্দার ‘মিয়া ভাই’খ্যাত চিত্রনায়ক ফারুক। আজ এই অভিনেতার জন্মবার্ষিকী। ১৯৪৮ সালের এই দিনে গাজীপুরের কালীগঞ্জে তাঁর জন্ম। শৈশব-কৈশোর কেটেছে পুরান ঢাকায়।

ক্যারিয়ারে শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন নায়ক ফারুক। ছিলেন সহশিল্পীদের পছন্দের জন। গোপনে অনেকের জন্য নানাভাবে সাহায্যও করেছেন। এমনকি সহকর্মীদের জন্য সরকারি নানা সুযোগ-সুবিধার বন্দোবস্ত করতেন। কাছের কিছু মানুষের জন্য ব্যবস্থা করেছিলেন সরকারি প্লট।

২০২৩ সালের ১৫ মে ফারুক মারা যাওয়ার পর তেমনই এক অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছিলেন আরেক কিংবদন্তি ববিতা। ‘নয়নমণি’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘আবার তোরা মানুষ হ’র মতো বিখ্যাত সব ছবি করেছেন তাঁরা একসঙ্গে।

ববিতার ভাষ্য, ‘‘যখন বারিধারা নতুন হলো, সেখানে শিল্পীদের জন্য প্লট বরাদ্দ চলছিল। সেসব আমি জানতামও না। ফারুক ভাই আমাকে ফোন করে বললেন, ‘২৫ হাজার টাকা পাঠা। বারিধারায় প্লট কিনব তোর জন্য।’ আমি বললাম, ‘টাকা তো প্রযোজকদের কাছ থেকে নিতে হবে।’ তিনি সেটা শুনে নিজেই আমার প্রযোজকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সব টাকা জমা দিয়ে কাগজপত্র করলেন, আমার সিগনেচার নিয়ে জমা দিলেন। পরে দেখা গেল প্লট সেখানে পাইনি। ফারুক ভাই খুব বিরক্ত হয়েছিলেন। তিনি ওই প্রকল্পের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে, তর্ক-বিতর্ক করে আমার জন্য উত্তরায় প্লটের ব্যবস্থা করেন।’’

১৯৪৮ সালের ১৮ আগস্ট ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন নায়ক ফারুক। ১৯৭১ সালে ঢাকাই সিনেমায় তাঁর অভিষেক। এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ তাঁর প্রথম চলচ্চিত্র। বিপরীতে ছিলেন কবরী। ১৯৭৩ সালে খান আতাউর রহমানের পরিচালনায় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘আবার তোরা মানুষ হ’ এবং ১৯৭৪ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতার ‘আলোর মিছিল’-এ পার্শ্বচরিত্রে দারুণ অভিনয় করেন তিনি।

সত্তরের দশকে ‘লাঠিয়াল’ সিনেমায় লাঠিয়াল চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফারুক, সারেং হয়েছেন ‘সারেং বৌ’তে। রোমান্টিক প্রেমিকের চরিত্রে সুজন সেজেছেন ‘সুজন সখী’ সিনেমায়। ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘নয়নমনি’, ‘দিন যায় কথা থাকে’, ‘সূর্য গ্রহণ’ ছবিগুলো তাঁকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।

প্রায় পাঁচ দশক ঢালিউডে অবদান রেখেছেন অভিনেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক। পেয়েছেন আজীবন সম্মাননা। অভিনয় থেকে অবসর নেওয়ার পর রাজনীতিতে সক্রিয় হন তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ফারুকের স্ত্রীর নাম ফারজানা পাঠান। তাঁদের মেয়ে ফারিহা তাবাসসুম পাঠান ও পুত্র রওশন হোসেন শরৎ পাঠান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

এ বিভাগের আরো খবর

২১ জুন-23 অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান