আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছিলেন অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি। তবে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতনের পর বদলে যায় সব হিসাব-নিকাশ। তারপর কর্মস্থলে খুব একটা যাওয়া হয়নি তার। মাঝে অবশ্য একদিন গিয়েছিলেন, কিন্তু সেদিন অন্যান্য সহকর্মীদের তোপের মুখে অফিস থেকে ফিরে আসতে হয় এ অভিনেত্রীকে।
এদিকে এরই মধ্যে কর্মস্থল থেকে অব্যাহতিপত্র দেয়া হলো অভিনেত্রী জ্যোতিকে। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তার নিয়োগ বাতিল করল অন্তর্বর্তী সরকার। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব নিলুফার ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয় বিষয়টি।
প্রজ্ঞাপনটিতে অভিনেত্রী জ্যোতি ছাড়াও চুক্তিভিত্তিক আরও চার পরিচালককে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। আর সেই প্রজ্ঞাপনটি নিজের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী।
তিনি ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘এক প্রজ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো আমার প্রথম সরকারি চাকরি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আমার চাকরির মেয়াদ থাকার পরও আমাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আজ (১ অক্টোবর) থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক পদের দায়িত্বে আমি আর নেই। লেখক, গবেষক ও প্রকাশকদের অনুরুধ থাকল, আপনারা সরাসরি বিভাগে যোগাযোগ করবেন। দেড় বছরের এই যাত্রায় নতুন নতুন অভিজ্ঞতায় আমাকে ঋদ্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ।’
এর আগে গত বছরের ১৩ মার্চ থেকে দুই বছরের চুক্তিতে একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা পরিচালক পদের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন অভিনেত্রী জ্যোতি।
গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর শিল্পকলায় নতুন পরিচালক হিসেবে সৈয়দ জামিল আহমেদ নিয়োগ পান। এ খবর প্রকাশের পর গত ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে কর্মস্থলে যান জ্যোতি। কিন্তু তখন বেশি সময় অবস্থান করতে পারেননি। শিল্পকলার অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তোপের মুখে অফিস ছেড়ে চলে আসতে হয় তাকে।
You must be logged in to post a comment.