বিশ্বকাপ ফুটবলের নক আউট পর্বে সুইজারল্যান্ডকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে পর্তুগাল। কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে সুইচদের ৬-১ গোলে হারিয়েছে পর্তুগিজরা। একাদশে সুযোগ পেয়ে বাজিমাত করেন গনসালো রামোস। বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করলেন তিনি। এ বারের বিশ্বকাপেরও এটিই প্রথম হ্যাটট্রিক। একটি করে গোল করেছেন পেপে, গুয়েরেরো ও লিয়াও। সুইজারল্যান্ডের হয়ে একটি গোল শোধ করেন আকাঞ্জি। ৬-১ গোলে সুইজারল্যান্ডকে হারিয়ে ২০০৬ সালের পর বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল পর্তুগাল।
কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে রোনালদোকে ছাড়াই একাদশ সাজান পর্তুগালের কোচ ফের্নান্দো সান্তোস। সিআর সেভেনের বদলে মাঠে নামান বেনফিকার হয়ে চলতি মৌসুমে দারুণ ছন্দে থাকা ২১ বছর বয়সী স্ট্রাইকার গনসালো রামোসকে। খেলার ১৭ মিনিটে প্রথম গোল পায় পর্তুগাল। থ্রো থেকে বক্সের মধ্যে রামোসকে পাস দেন জোয়াও ফেলিক্স। প্রথম পোস্টে থাকা গোলরক্ষকের পাস দিয়ে জোরালো শটে গোল করেন রামোস।
৩৩ মিনিটে লিড ডাবল করেন পেপে। কর্নার থেকে জোরালো হেডে বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি। ২-০ গোলে এগিয়ে সাজঘরে যায় পর্তুগাল।
বিরতির পর ম্যাচে ফিরতে পারেনি সুইসরা। ৫১ মিনিটে আবারও গোল খেয়ে বসে তারা। নিজের দ্বিতীয় গোল করেন রামোস। বল নিয়ে ডান প্রান্ত ধরে ওঠেন দিয়োগো দালত। তিনি ক্রস রাখেন বক্সে। বাঁ পায়ের টোকায় গোলরক্ষকের পায়ের তলা দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন রামোস। এর চার মিনিট স্কোরবোর্ড ৪-০। এবার গোল করলেন রাফায়েল গুয়েরেরো। এর পর আরও দুই গোল করে পর্তুগাল । এর মধ্যে সুইসরা একটি গোল পরিশোধ করলেও আর বেশি কিছু করতে পারে নি। শেষ পর্যন্ত ৬-১ গোলের বিশাল জয়ে শেষ আটে ওঠে পর্তুগাল।
শুরুর একাদশে না থাকলেও শেষের দিকে মাঠে ছিলেন পর্তুগালের তারকা ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তবে, কোন গোল পাননি তিনি।
You must be logged in to post a comment.