নুসরত জাহান, বরাবরই তিনি স্পষ্ট কথা বলতে পিছপা হন না। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কম জল্পনা হয়নি, তবে একটা সময় নুসরত নিজেই জানিয়েছিলেন এই বিষয়গুলো তাঁকে আর স্পর্শ করতে পারে না। তাঁর কথায় যত এসব থেকে দূরে থাকা যায় ততই ভাল। আর এক শ্রেণীর মানুষ কেবল তাঁকে নিয়েই চর্চা করছে, এটা তো আরও ভাল। তবে এটা যে কথায় নয়, কাজেও করছেন তিনি তার প্রমাণ মিলল এবার সোশ্যাল মিডিয়ায়। দিন দিন যেন তাঁর জেল্লা বেড়ে চলেছে। তবে এই গ্লো-র কারণ কি? এবার নিজেই রহস্যে ইতি টানলেন নুসরত জাহান। সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টোরি শেয়ার করে লিখলেন, ‘চেহেরে পে আতা হ্যায় নুর, যব তুম রেহেতে হো টক্সিক লোগো সে দূর’ (চেহারায় জেল্লা আসে, যখন কেউ টক্সিক মানুষের থেকে দূরে থাকে)।
নুসরত জাহান এক কথায় বলতে গেলে টলিপাড়ার স্টার কুইন। বাংলা ছবির দুনিয়ার পা রাখার পর থেকেই একের পর এক বিতর্কে না নাম জড়ালেও কেরিয়ারে বা পর্দায় ভক্তদের মন জয় করার ক্ষেত্রে কোনও খামতি রাখেননি এই সেলেব। তাঁর কথায়- নিজের চেষ্টার একার লড়াইতে আজ তিনি যেটুকু হতে পড়েছেন। পরিবার ছাড়া কঠিন সময় পাশে ছিল না সেভাবে কেউ। এরপর থেকে বাংলা সিনে দুনিয়ায় লম্বা সফর। পাশাপাশি নুসরত জাহান রাজনীতিতেও নাম লিখিয়েছিলেন। সবদিক একা হাতে ব্যালন্স কে চলেছেন প্রথম থেকেই। সোশ্যাল মিডিয়াতেও তিনি বেজায় সক্রিয়। নিত্যদিন ভক্তদের জন্য কিছু না কিছু পোসট করে থাকেন। কখনও ভিডিয়ো কখনও ছবি ঘিরে মাঝেমধ্যে নেটপাড়ায় তাই জল্পনাও ওঠে তুঙ্গে।
যদিও অতীতে একাধিকবার নুসরত জাহান ট্রোল প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, যে তিনি প্রথমে ট্রোল নিয়ে বেশ মাথা ঘামাতেন। তবে এখন তিনি এসব বিষয় খুব একটা বিচলিত হন না। কারণ একটাই, ট্রোলই তাঁকে শক্ত হতে সাহায্য করেছে। শুনতে শুনতে এখন তিনি এই বিষয় কঠিন হয়ে উঠেছে। ফলে কে তাঁকে কী বলছে, তা নিয়ে খুব একটা আর এখন ভেবে দেখেন না নুসরত জাহান। তিনি নিজের পরিবার ও কেরিয়ার নিয়েই বেজায় ব্যস্ত।
You must be logged in to post a comment.