বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও তাঁর সাহিত্যকর্ম নিয়ে প্রতি বছরই অসংখ্য গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়। এর মধ্যে কিছু গবেষণা রয়েছে যেগুলো কবিকে আবিষ্কার করে নতুনভাবে। এবার এই গবেষকদের কাতারে নাম লেখালেন দুই বাংলার জনপ্রিয় গায়িকা সাহানা বাজপেয়ি। এমনকি অনন্য এক রেকর্ডও গড়লেন তিনি। যুক্তরাজ্যের একাডেমিয়া ইতিহাসে এই গায়িকাই প্রথম গবেষক, যিনি রবীন্দ্রসংগীত নিয়ে ডক্টরাল থিসিস লিখেছেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্তদের সঙ্গে বিষয়টি শেয়ার করেছেন সাহানা নিজেই। তিনি বললেন, ‘রবীন্দ্রসংগীত বিষয়ে বিলেতের একাডেমিয়ার ইতিহাসে প্রথম ডক্টরাল থিসিস (সুপারভাইজারের তথ্যানুসারে) লিখেছি এই আশায় যাতে আরও অনেক গবেষক অনুপ্রাণিত হন, রবীন্দ্রনাথের গান নিয়ে বিদেশে কাজ করেন যাতে ভাষা-সংস্কৃতি নির্বিশেষে সকলে রবীন্দ্রনাথ ও রবীন্দ্রসংগীত আরও বেশি করে জানতে-বুঝতে চায়। এই কাজে পাশে যাঁরা ছিলেন/ যারা ছিল তাঁদের/ তাদের অশেষ কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা জানাই।’
এই পোস্টে থিসিসের টাইটেল পেজের একটি স্থিরচিত্রও জুড়ে দিয়েছেন সাহানা। যেখানে জানা যায় তাঁর থিসিসের শিরোনাম ‘রবীন্দ্রসংগীত: দ্য পলিটিক্স অব পারফরম্যান্স’।
থিসিস পেপারের উৎসর্গপত্রে সাহানা লিখেছেন, ‘প্রিয় বাবা-মায়ের স্মৃতির প্রতি, যাঁরা আমাকে রবীন্দ্রসংগীতের অন্তর্জগতের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। এমনকি তাঁদের অনুপস্থিতেও, তাঁদের অকৃত্রিম ভালোবাসা ও অবিচল সমর্থনকে অনুভব করে চলেছি আমি।’
যুক্তরাজ্যের কিংস কলেজ অব লন্ডন থেকে পিএইচডি করছেন সাহানা বাজপেয়ি। এরই অংশ হিসেবে রবীন্দ্রসংগীত নিয়ে ডক্টরাল থিসিস জমা দিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, রবীন্দ্রনাথের চারণভূমি শান্তিনিকেতনে কেটেছে সাহানা বাজপেয়ির ছোটবেলা। সেখানেই বাবা বিমল বাজপেয়ির কাছে সংগীতে হাতেখড়ি তাঁর। মাত্র তিন বছর বয়সেই প্রথম গান শেখেন। এমনকি পাঠ নিয়েছেন ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত ও রবীন্দ্রসংগীতের ওপরেও। পরবর্তীতে রবীন্দ্রনাথের অজস্র গান জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই গায়িকার কণ্ঠে।
You must be logged in to post a comment.