জাতীয় পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী রেহানা সুলতান। ১৯৭০ সালে ‘দস্তক’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পান ভারতীয় এই অভিনেত্রী। বলিউডে অভিষেক সিনেমার মাধ্যমে সাড়া ফেললেও ‘চেতনা’য় অভিনয়ের পরই ফিল্ম ক্যারিয়ারে ধস নামে তার।
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রেহানা সুলতান ‘চেতনা’ সিনেমায় যৌনকর্মীর চরিত্রে অভিনয় করেন। অত্যাধিক বোল্ড চরিত্রে অভিনয়ের জন্য পরবর্তীতে অন্যান্য সিনেমায় কাজ পেতে সমস্যায় পড়তে হয় তাকে। আর্থিক সংকটেও দিন কেটেছে তার। এমনকি সিআইনটিএএ-এর পক্ষ থেকে প্রতি মাসে অর্থ সহায়তা দেয়া হতো রেহানাকে।
‘চেতনা’ সিনেমায় বোল্ড দৃশ্যে অভিনয়ের পর চর্চা শুরু হয় রেহানাকে নিয়ে। সিনেমায় অভিনয়ের পর পরিচালক-প্রযোজকদের চক্ষুশূলও হয়ে গিয়েছিলেন। আর একজন জাতীয় পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী কেন যৌনকর্মীর চরিত্রে অভিনয় করবে, তা নিয়ে পেজ থ্রি-র চর্চা ছিল তুঙ্গে।
নিজের থেকে ১৬ বছরের পর চেতনা সিনেমার পরিচালকের সঙ্গে বিয়ে হয় রেহানার। তারপর অভিনয় থেকে ধীরে ধীরে সরে যান তিনি। এক সাক্ষাৎকারে এই অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, স্বামীর মৃত্যুর পর তার কাছে থাকার মতো একটি বাড়ি ছাড়া কিছুই ছিল না। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট একদমই খালি।
জানা গেছে, এখনো চরম দারিদ্রের মধ্যে দিন কাটছে রেহানার। টেলিভিশন বা বড়পর্দায় কাজের জন্য আগ্রহী তিনি। এ বিষয়ে ২০১৬ সালে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, টেলিভিশনের জন্য যদি কোনো চরিত্র পান তাহলে কাজ করতে রাজি তিনি।
ভারতীয় এই অভিনেত্রীর শুরুর বোল্ড দৃশ্যের সিনেমা দর্শক মহলে প্রশংসিত হয়। কিন্তু তারপর থেকে সব পরিচালক ও প্রযোজকরা বোল্ড দৃশ্যে অভিনয়ের জন্য প্রস্তাব দেয়া শুরু করেন তাকে। প্রয়োজন ছাড়াও রেহানার সিনেমায় বোল্ড দৃশ্যের সংযোজন করতেন পরিচালকরা। যে কারণে ধীরে ধীরে দর্শকের সামনে নেতিবাচক ইমেজ তৈরি হতে থাকে তার। যার প্রভাবে ফিল্মি ক্যারিয়ারই ধ্বংস হয়ে যায়। আর এক সময় বক্স অফিসে ‘ফ্লপ’-এর তকমা পেতে শুরু করেন। যে কারণে চরম আর্থিক সংকটে পড়েন বলে অভিযোগ রেহানা সুলতানের।
You must be logged in to post a comment.