কাতারে শুরু হওয়া ফুটবল বিশ্বকাপের উন্মাদনা ছড়িয়ে পড়েছে পুরো বিশ্বে। তবে ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়ে ইউরোপ-আমেরিকার সাধারণ মানুষ আবেগে ফেটে না পড়লেও এ দলে রয়েছে এশিয়ার মানুষ। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত। যেখানে ফুটবল তারকা মেসি ও নেইমারকে নিজেদের জীবনের চেয়ে বড় কিছু মনে করা হয়।
ভারতের দক্ষিণ রাজ্য কেরালার একটি শহর কোঝিকোড়। যেখানে ফুটবল ভক্তরা বছরের পর বছর ধরে আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলাকে ঘিরে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকেন। এখানের বাসিন্দারা শহরজুড়ে খেলোয়াড়দের বিশাল ছবি প্রদর্শন করেন। সঙ্গে পতাকা-ব্যানারও রয়েছে। প্রায় প্রতিটি রাস্তায় কোনো না কোনো সাজসজ্জা চোখে পড়ে।
এ রাজ্যের অধিকাংশ মানুষই আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিলের সমর্থক। কারণ তার মনে করেন এই দুদলে ব্যাপক জনপ্রিয় খেলোয়াড় রয়েছে। যারা ফুটবলকে বিশেষ এক স্থানে নিয়ে গেছেন। যাদের মধ্যে কাকা, ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো, রোনালদিনহো গুয়াচো এবং দিয়াগো ম্যাডোনা।
২৮ বছরের মুহাম্মদ বাসিদ একজন ব্যবসায়ী এবং তিনি একজন ব্রাজিলেরে একনিষ্ঠ সমর্থক। তিনি মনে করেন ১৯৯০ সালের পর থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ব্রাজিলের সমর্থক বেড়েছে। তবে এ সময়ে আর্জেন্টিনার প্রতিও সমর্থকদের গভীর ভালোবাসা জন্মেছে।
তিনি ১৯৯৮ সাল থেকে যখন ফুটবল দেখা শুরু করেন তখন মারিও জাগালোর দল ব্রাজিল সেই বছর বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছায়। এ উপলক্ষে তার বাবা বাড়িতে একটি ছোট রঙিন টিভি নিয়ে আসেন বলে তার মনে পড়ে।
“ওই সময়ে ব্রাজিল দুর্দান্ত খেলার কারণে আমি এ দলের সমর্থক হয়ে যাই। আমার মনে পড়ে বাবা যে টিভিটি কিনেছিলেন তার সুইসটি ছিল একটি ফুটবলের মতো। টেলিভিশনটি এখন আমার বাসায় স্মৃতি হিসেবে রেখে দিয়েছি।”
কেরালার এ শহরটিতে আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিলের পতাকায় ছেয়ে গেছ। এমনকি পার্শ্ববর্তী জেলা ম্যালাপুরামেও একই অবস্থা।
বাসিদ আরও বলেন, ১৯৮৬ সালের পর থেকে আর্জেন্টিনা কাপ না জেতার কারণে অনেকে ব্রাজিল সমর্থক হয়ে গেছে। তবে সমর্থকদের মধ্যে আর্জেন্টিনার প্রতি গভীর ভালোবাসা কাজ করে।
“এ শহরের বাসিন্দারা তারকাদের নিজের জীবনের চেয়েও বড় করে দেখেন। একই অবস্থা সিনেমার তারকাদের ক্ষেত্রেও। তবে সবকিছু ছাপিয়ে তাদের বেশি ভালোবাসা আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের প্রতি। সূত্র: আল জাজিরা
You must be logged in to post a comment.