গত কয়েক বছরে দেশীয় প্রেক্ষাগৃহে দর্শক টানতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে ‘হাওয়া’, ‘পরাণ’, ‘প্রিয়তমা’, ‘তুফান’, ‘সুড়ঙ্গ’, ‘বরবাদ’, ‘জংলি’, ‘দাগি’র মতো আলোচিত সব সিনেমা। এই সিনেমাগুলোর সাফল্যে ব্যবসা জমজমাট হয়েছে সিনেপ্লেক্স ও সিঙ্গেল স্ক্রিন হলগুলোর। তবে সেই আয়ের ন্যায্য অংশ কি পাচ্ছেন প্রযোজকরা?
প্রযোজকদের দাবি, প্রেক্ষাগৃহ থেকে প্রত্যাশিত লভ্যাংশ ঠিকভাবে পাচ্ছেন না তাঁরা। বিশেষ করে বুকিং এজেন্টদের দৌরাত্ম্য, রেভিনিউ ভাগাভাগিতে অসমতা—এসব কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ফলে ক্ষোভে ফুঁসছেন তাঁরা।
এ অবস্থায় প্রযোজকদের স্বার্থ রক্ষায় এবার একজোট হয়েছেন তুফান, দাগি, সুড়ঙ্গ’র প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল, বরবাদ’র প্রযোজক শাহরিন আক্তার সুমি ও আজিম হারুন, জংলি’র জাহিদ হাসান অভি এবং ৮৪০’র প্রযোজক নুসরাত ইমরোজ তিশা। তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন নির্মাতারা রায়হান রাফী, রেদওয়ান রনি, শিহাব শাহীন, শরাফ আহমেদ জীবন ও সঞ্জয় সমদ্দার।
তাঁদের লক্ষ্য—সিনেপ্লেক্স ও হল মালিকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে লাভ ভাগাভাগির ন্যায্য নিয়ম প্রতিষ্ঠা করা। পাশাপাশি অকার্যকর হয়ে পড়া প্রযোজক সমিতির বাইরে নিজেদের উদ্যোগে একটি কার্যকর প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছেন তাঁরা।
‘পৃথিবীর কেউ এমন স্টান্ট করতে পারবে না’‘পৃথিবীর কেউ এমন স্টান্ট করতে পারবে না’
এই প্রসঙ্গে শাহরিয়ার শাকিল বলেন, ‘সিনেপ্লেক্সের বর্তমান রেভিনিউ রেশিও প্রযোজকদের জন্য অর্থনৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য। বড় বাজেট হোক কিংবা ছোট—এই পরিস্থিতিতে কেউই লগ্নি উদ্ধার করতে পারছে না। আমাদের লক্ষ্য হলো যৌক্তিক একটি সমাধান পাওয়া, যাতে প্রযোজক বাঁচে, আর শিল্প এগিয়ে যায়।’
‘বরবাদ’ প্রযোজক শাহরিন আক্তার সুমির অভিজ্ঞতাও তিক্ত, ‘আমার সিনেমা রিলিজের সময় অনেক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি। তখন বুঝেছি, একা কিছু করা সম্ভব নয়। তাই আমরা এক হচ্ছি। সবাই মিলে কাজ করলে সিনেমার ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল হবে।’
নির্মাতা সঞ্জয় সমদ্দার বলেন, ‘অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে প্রযোজকরা অনেক কম রেভিনিউ পান। এই অবস্থা চলতে থাকলে প্রযোজকরা সিনেমা নির্মাণে উৎসাহ হারাবেন। প্রযোজক না থাকলে হলও থাকবে না—এটা বুঝতে হবে।’
আমেরিকায় মিশার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন, দেশে ‘মারধরের’ ভুয়া ভিডিও ভাইরালআমেরিকায় মিশার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন, দেশে ‘মারধরের’ ভুয়া ভিডিও ভাইরাল
সব মিলিয়ে সিনেমা হলে আয় বণ্টনের ন্যায্যতা নিশ্চিত করতেই এখন এক হয়েছেন দেশের একঝাঁক শীর্ষ প্রযোজক ও নির্মাতা। ঈদ সামনে রেখে তাঁরা চাইছেন, দ্রুত সমাধান আসুক এবং চলচ্চিত্র শিল্পে একটি টেকসই পরিবেশ গড়ে উঠুক।
You must be logged in to post a comment.