শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:০১ পূর্বাহ্ন

যেখানে এসে মিলে গেলেন শাকিব খান-আল্লু অর্জুন

বিনোদন প্রতিবেদক / ২৭ জন দেখেছেন
আপডেট : জুন ১, ২০২৪
যেখানে এসে মিলে গেলেন শাকিব খান-আল্লু অর্জুন
দর্শক ফোরামের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন

শাকিব খান ও আল্লু অর্জুন—প্রথজন ঢালিউড সুপারস্টার আর দ্বিতীয়জন দক্ষিণ ভারত তথা টলিউডের। এ দুই তারকারা কখনও দেখা হয়নি। তবে দুই প্রান্তে অবস্থান করেও চিন্তা-ভাবনার দিক থেকে মিলে যান তারা।

সদ্য সিনেমার ক্যারিয়ারে ২৫ বছর পার করেছেন শাকিব। এর মধ্যে প্রায় ১৮ বছর শীর্ষ নায়ক তিনি। এখনও চলছে তার অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা।

গেল কয়েক বছর ধরে শাকিবের চোখ আন্তর্জাতিক বাজারে। তিনি স্বপ্ন দেখেন, বাংলাদেশেই তৈরি হবে বিশ্বমানের ছবি। ২০১৯ সালে ‘আগুন’ সিনেমার মহর অনুষ্ঠানে কিং খান বলেছিলেন, ‘এমন একটা সময় আসবে, যখন আমরা দেশে বসেই নিয়মিত আন্তর্জাতিক মানের সিনেমা নির্মাণ করব। সেইসঙ্গে ঘরে বসে আন্তর্জাতিক সিনেমার সব ধরনের খবরও রাখব।’

কথা বলেই শাকিব বসে থাকেননি। লক্ষ্য স্থির রেখে এগিয়ে গেছেন। ফলশ্রুতিতে তার সিনেমা চলেছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে। এবার নায়কের স্বপ্ন আরও একধাপ এগিয়ে। ঢুকতে চান ১০০ কোটির ক্লাবে। চলতি বছর এক অনুষ্ঠানে ঢালিউড ভাইজান বলেন, ‘সেদিন আর বেশি দূরে নয়, আমরা ১০০ কোটি স্পর্শ করব। গ্রস সেল, নেট সেল ১০০ কোটি। আমার মনে হয় অচিরেই আমাদের কাছে মনে হবে ১০০ কোটিও কম সেল বাংলা সিনেমার জন্য।’

অন্যদিকে ‘পুষ্পা’ সিনেমার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক পরিচিতি বেড়েছে আল্লু অর্জুনের। এই মুহূর্তে ভারতের প্যান ইন্ডিয়ান স্টারদের মধ্যে অন্যতম এই অভিনেতা। তাই বিশ্বব্যাপী ভারতীয় সিনেমার পুনরুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়ার আকাঙ্ক্ষাও প্রকাশ করেছেন তিনি। তার লক্ষ্য, বিশ্বব্যাপী চলচ্চিত্র দুনিয়ার সঙ্গে বলিউডকে সংযুক্ত করা।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আল্লু বলেন, ‘বলিউড ও বিশ্ব সিনেমার সংযোগের মাধ্যম হতে চাই। সে ক্ষেত্রে এই দুইয়ের মধ্যে আমি সেতু হতে পারি।’

মূলত সিনেমাকে ভাষাগত ও আঞ্চলিক গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চান না আল্লু। তার মতে, বলিউডের অন্দরে ইতিমধ্যেই নবজাগরণ শুরু হয়েছে। তারই ‘সম্মুখ সারিতে’ থাকতে চান তিনি।

সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে শাকিব খানের একটি ছবি ভাইরাল হয়। তাতে তার লুক আল্লু অর্জুনের সঙ্গে মিলে গিয়েছিল। যা প্রশংসা কুড়ায় অনুরাগীদের। এবার তাদের ভাবনার মিল নিজ নিজ দেশের চলচ্চিত্রের জন্য আশীর্বাদ বয়ে আনবে—এমনটাই ধরে নেওয়া যায়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

এ বিভাগের আরো খবর

২১ জুন-23 অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান