ইউরোপিয়ান লিগে খেলা ফুটবলাররা রাজত্ব করছেন বিশ্বকাপে। এক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ১১ ফুটবলার খেলছেন কোয়ার্টার ফাইনালে। যদিও বিশ্বকাপের শুরুতে সবচেয়ে বেশি ১৭ জন ফুটবলার ছিল বায়ার্ন মিউনিখের। আর স্কোয়াডের ২৬ ফুটবলারকে খেলিয়ে বিরল কীর্তি গড়েছে ব্রাজিল।
এই বিশ্বকাপে তো বটেই, অনেক আসর মিলিয়েও এটা রেকর্ড। ব্রাজিল তার স্কোয়াডের ২৬ ফুটবলারকে পরখ করে দেখেছে চার ম্যাচ মিলিয়ে। রিজার্ভ বেঞ্চ কতটা শক্তিশালী হলে এক ম্যাচে নয় আরেক ম্যাচে দশ পরিবর্তন করা সম্ভব সেটা দেখিয়েছেন তিতে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে ব্রাজিলের রিজার্ভ বেঞ্চের ফুটবলারদের দাম আর্জেন্টিনার মূল বেঞ্চের চেয়েও বেশি। সেটা যদিও ফুটবল মাঠের সাফল্য-ব্যর্থতার মূল্যায়ন করে না।
তবে এবারের বিশ্বকাপে চমক দেখিয়েছে ইংল্যান্ড। সেটা দল হিসেবে মাঠের পারফরম্যান্সে যেমন আর ক্লাব হিসেবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। বিশ্বকাপ শুরুর আগে বিশ্বকাপে খেলা ফুটবলারের সংখ্যায় শীর্ষে ছিল বায়ার্ন মিউনিখ। সবচেয়ে বেশি ১৭ ফুটবলার ছিল জার্মান চ্যাম্পিয়নদের। ম্যানসিটি আর বার্সেলোনার ছিল ১৬ জন করে। কাতারের ১৫ ফুটবলারই ছিলেন এক আল সাদ ক্লাবের।
কিন্তু গ্রুপ আর নকআউট পর্বের প্রথম বাধা শেষে সবার উপর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। যাদের ১৪ ফুটবলার ছিল প্রথমে, বাদ পড়েছেন মাত্র ৩ জন। কোয়ার্টারে বাকি ১১ এর প্রতিনিধিত্ব ছয় দেশের হয়ে। তিন ইংলিশ লুক শ, হ্যারি ম্যাগুয়ার আর মার্কাস রাশফোর্ডের সঙ্গে পর্তুগালের দারোথ, ব্রুনো, ব্রাজিলের ক্যাসেমিরো, ফ্রেড, অ্যান্তোনিও, ফ্রান্সের রাফায়েল ভারানে, নেদারল্যান্ডসের মালাসিয়া, আর্জেন্টিনার লিসান্দ্রো মার্টিনেজ।
ইংলিশ লিগে ম্যানইউর অবস্থান যদিও পাঁচে। তবে ফ্রান্সে সেরা অবস্থানে পিএসজি। তাদের ৮ জন খেলছেন পাঁচ দেশে। চার সেরা মেসি, নেইমার, এমবাপ্পে, আশরাফ হাকিমির সঙ্গে মার্কুইনহোস, পেরেরা, ভিতিনহা আর নুনো মেন্ডেজ।
ইউরোপ, ল্যাতিন বা আফ্রিকার যেই জিতুক বিশ্বকাপে জয়জয়কার ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের।
You must be logged in to post a comment.