টিভি9 বাংলার প্রথম প্রয়াস ‘ঘরের বায়োস্কোপ অ্যাওয়ার্ড। শহরজুড়ে বিগত বেশ কিছু দিন ধরেই উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। বাংলার সবচেয়ে বড় চাঁদের হাট। সন্ধে হতেই ভিড় জমেছিল শহরের পাঁচতারায়। কে হবেন সেরার সেরা? তা নিয়ে চলছিল কাউন্টডাউন। যে কোনও ধারবাহিকেই খলনায়িকাদের ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের তীক্ষ্ণ বুদ্ধি আর কূটকচালিতেই এগিয়ে যায় ধারাবাহিকের গতি। TV9 বাংলার এই অনুষ্ঠানে অন্যতম অ্যাওয়ার্ড সেগমেন্ট ছিল ‘সেরা খলনায়িকা’। এমনিতে ধারাবাহিকে খলনায়িকার অভাব নেই।
মনোনয়নের তালিকায় ছিলেন, ‘গৌরী এল’ ধারাবাহিকের চান্দ্রেয়ী ঘোষ, ‘ফেরারি মন’ ধারাবাহিকের জন্য বিদীপ্তা চক্রবর্তী, ছিলেন টিআরপিতে এক নম্বর স্থানে থাকা ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র অহনা দত্ত ওরফে মিশকা এবং ‘নিম ফুলের মধু’ ধারাবাহিকের অরিজিতা মুখোপাধ্যায়। শেষ হাসি হাসলেন কে জানেন? দর্শক ও জুরিদের বিচারে সেরা খলনায়িকা হিসেবে নির্বাচিত হলেন অহনা। পরেছিলেন গোলাপি গরদের শাড়ি। নাম ঘোষণা হতেই খোলা চুলে উঠে এলেন মঞ্চে। ওঠার আগে নিচু হয়ে প্রণাম করলেন মঞ্চকে। তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দিলেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় ও অলোকানন্দা রায়।
অহনার বয়স মাত্র কুড়ি। পুরস্কার পেয়ে উচ্ছ্বসিত তিনি। এই তাঁর জীবনের প্রথম প্রাপ্তি। অতিথিদের আসনে বসা প্রেমিক দীপঙ্করের চোখে-মুখে তখন গর্ব। তাঁকে ধন্যবাদ জানাতে ভুললেন না অহনা। বললেন, “আসলে আমার জীবনের প্রথম অ্যাওয়ার্ড, প্রথম নমিনেশন, আমার প্রথম সিরিয়াল। কী যে বলব জানি না। থ্যাঙ্ক ইউ ডি (দীপঙ্কর)। আমার পরিচালক অনুপম হরিকে অনেক ধন্যবাদ। ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র সবাইকে ধন্যবাদ। অহনা আজ মিশকা রূপে এই অ্যাওয়ার্ড নিয়েছে। আগামী দিনে আরও আরও অন্য রূপে অ্যাওয়ার্ড নেবে। ধন্যবাদ।” মায়ের সঙ্গে এই মুহূর্তে সম্পর্ক ভাল নেই অহনা। এই অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। বিশেষ দিনে কি মা’কে মনে পড়ল অহনার? চোখের কোণেও জমল জল?
You must be logged in to post a comment.