সম্প্রতি ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সামিরা খান মাহির একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। যেখানে মেকআপবিহীন একেবারে সাদামাটা রূপে দেখা যায় তাঁকে। তবে ভিডিওটি দেখে অনেকেই কটূ মন্তব্য করেছেন। গায়ের রং নিয়ে বর্ণবাদী মন্তব্যও করেছেন অনেকে। এ ঘটনায় মাহির পাশে দাঁড়ান তাঁর সহকর্মী ও জ্যেষ্ঠ শিল্পীরা। এ ছাড়া ভিডিওটি যিনি করেছিলেন তিনিও মাহির কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে, শুটিং সেটে মাহির সেই ভাইরাল ভিডিও ধারণ করেছিলেন রিমু রোজা খন্দকার। নাটক-চলচ্চিত্রে পার্শ্ব চরিত্রে কাজ করেন তিনি। ভিডিওটি রিল হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করার পর অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে ট্রলের শিকার হন মাহি।
বিষয়টি নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করে রিমু বলেন, ‘‘অনেক রকমের ট্রল ও নিউজ হয়েছে একটা রিলকে ঘিরে। আমরা কি মজা করে কিছু করতে পারব না? সব কিছুকেই আপনাদের ট্রল করতে হবে? সামিরা খান মাহি বোন আমার, আমি ইচ্ছাকৃতভাবে এই কাজটি করিনি। তুই সামনে ছিলি যখন ভিডিওটি করি, তুই যখন বোনের বাচ্চাকে নিয়ে গাড়ি থেকে নেমেছিলি—ইন্ডিয়ান নায়িকারা যেভাবে গাড়ি থেকে নামে আমার ঠিক ও রকমই মনে হচ্ছিল। ফান (মজা) করে আমি আসলে এটা করেছিলাম। এটা নিয়ে এত ট্রল বা নোংরামি হবে, এমনটা বুঝতে পারিনি। বোন আমি সরি (দুঃখিত), আমি সরি।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘এখন থেকে যদি আমি রিল করি তবে নিজের রিল করব বা সহশিল্পীদের সঙ্গে কোনো কনটেন্ট করব। তাঁদের ইচ্ছেতে। ফান করে আমরা একটা রিল করছি, আর এর জন্য এত বড় একটা মানুষকে আপনারা কষ্ট দিয়ে এগুলো লিখবেন, এগুলো বলবেন এটা কেমন! যা যা আপনারা লিখছেন-বলছেন, আপনাদের কি ভাই-বোন নেই? মাথায় আছে কী বলছেন আপনারা? এটা খুবই বাজে একটা কাজ হয়েছে।’
ভিডিওটি নিয়ে ট্রলের শিকার হলে মুখ খুলেন মাহিও। নিন্দুকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘মাঝেমধ্যেই অভিনেত্রীদের স্কিন কালার নিয়ে নানা ধরনের নেতিবাচক মন্তব্য শোনা যায়। নিজের বাইরেও অনেকের পোস্টে এমন মন্তব্য চোখে পড়ে। কিন্তু একজন অভিনেতার ক্ষেত্রে কিন্তু তেমনটা ঘটে না। এর কারণ আসলে অজানা। হয়তো আমরা অনেকেই মধ্যযুগীয় ধ্যান-ধারণা নিয়ে চলছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে বরাবরই কাজকে গুরুত্ব দিয়েছি। এখন যে জায়গায় দাঁড়িয়ে সেখানেও অনেক চেষ্টা, কষ্ট, পরিশ্রম রয়েছে।’
এদিকে, নাটকের শুটিংয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন সামিরা খান মাহি। শিগগিরই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিএমভি’র ‘স্বপ্নের বাসর’ নামক নাটকে দেখা যাবে তাঁকে। এ নাটকে তাঁর সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন নিলয় আলমগীর।
You must be logged in to post a comment.