ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পকে চাপে রাখার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মালদ্বীপ। হিন্দি সিনেমার কোনো শুটিং না করার জন্য নিষেধ করেছে অনিন্দ্যসুন্দর দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ। মুম্বাইয়ের ‘অল ইন্ডিয়া সিনে ওয়ার্কাস অ্যাসোসিয়েশন’ (এআইসিডব্লিউএ) জানিয়েছে, ভারতীয় সিনেমা নির্মাতারা যেন কোনো সিনেমার শুটিংয়ের জন্য মালদ্বীপে না যায়।
এআইসিডব্লিউএ মূলত মালদ্বীপের কয়েকজন মন্ত্রীর ভারতবিরোধী মন্তব্য নিয়ে চলমান বিতর্কের মধ্যে ভারতীয় নির্মাতাদের এই অনুরোধ জানায়। এমনকী ছুটিতেও মালদ্বীপ ঘুরতে না যায়। বরং ভারতে এমন অনেক দ্বীপ রয়েছে, সেখানে শুটিং এবং ঘুরতে যাওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, মালদ্বীপ সরকার আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে ভারতকে তাদের দ্বীপ থেকে সামরিক কর্মীদের প্রত্যাহার করতে বলেছে।
এআইসিডব্লিউএ সংগঠনের সভাপতি সুরেশ শ্যামলাল এক বিবৃতিতে জানান, সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে মালদ্বীপ সম্পর্কিত যেন ভারতীয়রা কিছু না রাখেন। ভারতে থাকা দ্বীপের প্রচারণা করতেও বলা হয়েছে। তিনি বলেন, যারা আমাদের দেশের বিরুদ্ধে যাবে, আমরা তাদের বিরুদ্ধে যাব। আমরা যেকোনো কিছু এবং সবকিছু সহ্য করতে পারি। তবে আমাদের দেশের বিরুদ্ধে যায় এমন কিছু সহ্য করা হবে না।
চলতি মাসের শুরুর দিকে মালদ্বীপের উপমন্ত্রীসহ কয়েকজন মন্ত্রী ভারতকে নিয়ে মন্তব্য করে। যা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়। যেখানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতকে উপহাস হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। যা আলোড়িত করে ভারতীয়দের। এরপরই ভারতীয় তারকাসহ সবাই মালদ্বীপকে বয়কটের ডাক দেয়।
এর আগে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লাক্ষ্মাদ্বীপ সফর করে। তার এই সফরের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় এ ব্যাপারে টুইট করা হয়। তাতে নরেন্দ্র মোদির প্রতি অবমাননাকর ভাষা ব্যবহার করা হয় বলে দাবি ভারতীয়দের।
এদিকে রোববার (১৪ জানুয়ারি) মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মোহামেদ মুইজু ভারতকে ১৫ মার্চের মধ্যে ভারত মহাসাগরের দ্বীপপুঞ্জে মোতায়েন করা সব ভারতীয় সামরিক কর্মী প্রত্যাহার করতে বলে। বিষয়টি নিয়ে মালদ্বীপে দুই দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠক করে। সেখানেও সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয় উঠে আসে।
প্রসঙ্গত, মালদ্বীপে বর্তমানে অবস্থানরত ডর্নিয়ার ২২৮ সামুদ্রিক টহল বিমান এবং দুটি এইচএএল ধ্রুব হেলিকপ্টারসহ প্রায় ৭০ জন ভারতীয় সেনা রয়েছে।
You must be logged in to post a comment.