ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক মান্না। ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি অসংখ্য ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান তিনি। এক সময়ের জনপ্রিয় এই নায়কের শূন্যতা কখনো পূরণ হবার নয়। আর তার স্মৃতি এখনো বয়ে বেড়াচ্ছেন নায়কের স্ত্রী-সন্তান।
মান্নার স্ত্রী শেলী মান্না মানসিক ও আত্মসম্মান পীড়নের মধ্য দিয়ে এক কঠিন সংগ্রামের মধ্য দিন পার করছেন। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কৃতাঞ্জলির ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
শেলী মান্না লিখেছেন, মান্না চলে যাওয়ার পর শুরু হয় আমার জীবন-যুদ্ধের সংগ্রাম। সেই সঙ্গে কাছের মানুষগুলোও চির অচেনা হতে থাকে। মান্নার জীবদ্দশায় সে মানুষের মানবিকতা ও আন্তরিকতা নিয়ে চরম সত্য কথাই বলে গিয়েছেন, যা এখন আমি বুঝতে পারি। আমরা আজ ধর্ম পালনের ক্ষেত্রে রীতিমতো সোচ্চার, কিন্তু সত্যিকার অর্থে মানবিক মূল্যবোধ ও আন্তরিকতা, ধর্ম ও ঈমানের সঙ্গে কজনই বা পালন করে থাকি?
এর আগে তিনি জানান, চিত্রনায়ক মান্নার স্মৃতি রক্ষার জন্য ২০০৯ সালে মান্না ফাউন্ডেশন গড়ে তুলেন। ট্রাস্ট্রি বোর্ড, কার্যকরী কমিটিসহ প্রায় ৪০ সদস্য বিশিষ্ট মিডিয়া ও সমাজের গণমান্য উপদেষ্টাসহ ২০০৯ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশ চলচ্চিত্রন উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) মান্না ডিজিটাল কমপ্লেক্সে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে গঠন করা হয়েছিল মান্না ফাউন্ডেশন। ২০১৪ সাল পর্যন্ত এর কার্যক্রম চললেও দেশে অস্থিরতার জন্য পরবর্তীতে কিছুটা থেমে যায় তা। তবে বর্তমানে এর কার্যক্রম ফের শুরু হয়েছে।
এ ব্যাপারে প্রয়াত অভিনেতার স্ত্রী বলেন, আমাদের মান্না ফাউন্ডেশন যেভাবে কাজ করছিল তার থেকে এখন অনেক এগিয়ে। আমরা সারাদেশে সংগঠনটির নতুন করে কার্যক্রম শুরু করেছি। সদস্য সংগ্রহ শুরু করেছি। এছাড়া যারা দেশের বাইরে সংগঠনটির শাখা করতে আগ্রহী তাদেরকেও সহযেগিতা করছি আমরা।
সবশেষ স্ট্যাটাসে বলা হয়েছে, এভাবেই আমাদের এই দীর্ঘ পথচলার পথে একে অপরের স্বজন হয়ে মানবিক ও আন্তরিক বন্ধনে কিংবদন্তি অভিনেতা মান্নার স্মরণে গড়ে তুলব এক কর্মের সুউচ্চ মিনার।
You must be logged in to post a comment.