বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৪০ অপরাহ্ন

ব্যর্থতা-অবসাদে ছ’মাস ‘বন্দি’ রাখেন নিজেকে

বিনোদন ডেস্ক / ৮৬ জন দেখেছেন
আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩
ব্যর্থতা-অবসাদে ছ’মাস ‘বন্দি’ রাখেন নিজেকে
দর্শক ফোরামের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন

গত ২৪ সেপ্টেম্বর ভারতের আম আদমি পার্টির সাংসদ রাঘব চাড্ডার সঙ্গে রাজস্থানের উদয়পুরে লেক পিচোলার ধারে বিয়ে হলো অভিনেত্রী পরিণীতির। এতে আড়ম্বরও ছিল তাক লাগানোর মতো। বর্তমানে বলিউডে উপার্জনের নিরিখে প্রথম সারিতে থাকা অভিনেত্রীদের মধ্যে পরিণীতি অন্যতম। কিন্তু প্রাথমিকভাবে অভিনয় নিয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চাননি তিনি।

বোন প্রিয়াঙ্কা অভিনয়জগতের সঙ্গে যুক্ত হলেও তার লক্ষ্য ছিল ভিন্ন। সে কারণে ১৭ বছর বয়সে বাড়ি ছেড়ে চলে যান। ১৯৮৮ সালের ২২ অক্টোবর মাসে হরিয়ানার অম্বালায় জন্ম পরিণীতির বরাবরই পড়াশোনায় বেশ ভালো। পড়াশোনার জন্য পাড়ি জমান লন্ডনে। পরীক্ষায় শীর্ষ স্থান অধিকার করার কারণে ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা প্যাটেলের কাছ থেকে পুরস্কারও পান পরিণীতি।

ইংল্যান্ডের ম্যাঞ্চেস্টার বিজনেস স্কুলে ব্যবসা, অর্থনীতি এবং বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন তিনি। তিনটি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করার পরও সেখানে গানবাজনা নিয়েও পড়েন পরিণীতি। কলেজে পড়াকালীন সেখানকার ফুটবল ক্লাবের ম্যাচ চলাকালীন খাবার সরবরাহের দায়িত্বেও থাকতেন তিনি।

কিন্তু ২০০৯ সালে ব্রিটেনে অর্থনৈতিক মন্দার ফলে চাকরির আকাল দেখা যায়। ফলে সেখানে হাজার চেষ্টা করেও চাকরি পাচ্ছিলেন না পরিণীতি। বাধ্য হয়ে তাঁকে ফিরতে হয় মুম্বাইয়ে। এসেই যুক্ত হন খ্যাতনামা প্রযোজনা সংস্থা যশরাজ ফিল্মসের সঙ্গে। জনসংযোগ পরামর্শদাতা (পাবলিক রিলেশন্স কনসালট্যান্ট) হিসেবে কাজ করা শুরু করেন পরিণীতি।

২০১০ সালেমুক্তিপ্রাপ্ত ‘ব্যান্ড বাজা বারাত’ ছবির প্রচারের দায়িত্বে ছিলেন পরিণীতি। সেই সময় অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ জন্মায় তাঁর। ভর্তি হন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে। ২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘লেডিস ভার্সেস রিকি বহল’ ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় পরিণীতিকে। ২০১২ সালে যশরাজ ফিল্মসের প্রযোজনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘ইশকজাদে’। এই ছবিতে মুখ্যচরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান পরিণীতি। জাতীয় পুরস্কার বাগিয়ে নেন নায়িকা।

তারপর ‘শুদ্ধ দেশি রোম্যান্স’, ‘হাসে তো ফাঁসে’র মতো ছবিতে বেশ কাটতি পান। এরপরই নিজেকে হারিয়ে ফেলেন। একের পর এক ফ্লপ ছবি। ২০১৪ সালের শেষ দিক থেকে শুরু করে ২০১৫ সাল পর্যন্ত পরিণীতির কেরিয়ারের সূর্য অস্তমিত হয়ে পড়ে বলে দাবি করেন অভিনেত্রী।

এক পুরনো সাক্ষাৎকারে পরিণীতি জানান, পর পর ছবি ব্যর্থ হওয়ার কারণে হতাশ হয়ে পড়েন তিনি। ধীরে ধীরে মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন।

পরিণীতি বলেন, ‘‘দেড় বছর আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময় ছিল। ‘দাওয়াত-এ-ইশক’ এবং ‘কিল দিল’ ছবি দু’টি ভাল চলেনি। পেশাগত দিক থেকে আমি ভেঙে পড়ছিলাম। আমার কাছে কোনও টাকা ছিল না। বাড়ি কেনার জন্য প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগ করে ফেলেছিলাম। ব্যক্তিগত জীবনেও ঝড় বয়ে যায়। অসুস্থও হয়ে পড়তাম বেশির ভাগ সময়। ছ’মাস কোনও মিডিয়ার সঙ্গে কথাও বলিনি আমি।’’

২০১৬ সাল থেকে পরিণীতি আবার নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করেন বলে সাক্ষাৎকারে জানান। ‘মেরি প্যারি বিন্দু’ এবং ‘গোলমাল’ ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাবে রাজি হন তিনি। এমনকি শরীরচর্চার দিকেও মনোনিবেশ করেন অভিনেত্রী। বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায়, কটাক্ষের শিকার হয়ে শরীরচর্চার মাধ্যমে ২৮ কেজি ওজন কমিয়েছিলেন অভিনেত্রী। ফিরেছেন নিজের ছন্দে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

এ বিভাগের আরো খবর

২১ জুন-23 অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান