সুশান্ত হত্যায় সব থেকে বেশি জেরার মুখে রয়েছেন রিয়া চক্রবর্তী। সুশান্তের পরিবার থেকে শুরু করে ভক্তকুল নানা রকমভাবে দোষ দিয়ে আসছে রিয়াকে। এবার রিয়া পালটা অভিযোগ আনলো সুশান্তের বোন প্রিয়াঙ্কা সিংহ, চিকিৎসক তরুণ কুমার এবং আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে।
সোমবার (০৭ সেপ্টেম্বর) পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন অভিনেত্রী। নকল প্রেসক্রিপশন বানিয়ে সুশান্তকে ওষুধ দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ নিয়ে এলেন তিনি।
রিয়ার অভিযোগ, এই ভুয়া প্রেসক্রিপশনের মাধ্যমেই অভিনেতাকে মানসিক অবসাদের জন্য এমন কিছু ওষুধ দেওয়া হচ্ছিল যা বৈধভাবে কখনওই কেনা সম্ভব নয়। এই নিষিদ্ধ ওষুধ খাওয়ার ৫ দিনের মধ্যেই নাকি অভিনেতার মৃত্যু হয়। এই প্রেসক্রিপশনেই সুশান্তকে দিল্লির রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালের ‘আউট পেশেন্ট ডিপার্টমেন্ট’-এর রোগী বলে উল্লেখ করা হয়। তার মানে, তিনি সাময়িক চিকিৎসার জন্য ওই দিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। অথচ সেখানে উল্লেখ করা দিনটিতে, অর্থাৎ ৮ জুন সুশান্ত মুম্বাইতে ছিলেন।
সুশান্তের মৃত্যুর ঠিক ৬ দিন আগে অভিনেতার সঙ্গে তার বোনের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের উপর ভিত্তি করেই এই অভিযোগ দায়ের করেন রিয়া। সেখানে দেখা যায় প্রিয়াঙ্কা তার ভাইকে লিব্রিয়াম, নেক্সিটো এবং লোনাজেপ নামের তিনটি ওষুধ খেতে বলেন। ‘অ্যাংজাইটি অ্যাটাক’-এর জন্যই নাকি সুশান্তকে এই ওষুধ দেন তিনি।
অথচ এই তিনটি ওষুধকে টেলি মেডিসিনস প্র্যাকটিস গাইডলাইনসে ক্ষতিকর এবং নিষিদ্ধ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। রিয়া জানান, ভাইবোনের মধ্যে ওষুধ নিয়ে এই আলোচনা সেই দিনই হয় যে দিন তিনি সুশান্তের বাড়ি ছেড়ে চলে যান।
৬ পৃষ্ঠার দীর্ঘ অভিযোগে রিয়া লেখেন, যারা সুশান্তকে এ ধরনের নিষিদ্ধ ওষুধ খাইয়ে তাকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া খুব জরুরি।
সুশান্তের মৃত্যুর পর তার পরিবার দাবি করে, অভিনেতার মানসিক অবসাদের ব্যাপারে তারা কিছু জানত না। কিন্তু এই চ্যাট প্রকাশ্যে আসতেই এই কথার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। প্রিয়াঙ্কা তার ভাইকে মুম্বাইয়ের সব থেকে ভাল চিকিৎসক খুঁজে দেওয়ার আশ্বাসও দেন। চিকিৎসার গোপনীয়তা বজায় রাখার কথাও তিনি বলেন অভিনেতাকে।
You must be logged in to post a comment.