নায়করাজের ৭৫ বছরের জীবন। ২০১৭ সালের আজকের এই দিনে (২১ আগস্ট) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি পাড়ি জমিয়েছিলেন না ফেরার দেশে। রাজ্জাকের নায়করাজ হয়ে ওঠার আগের জীবনের কয়েকটি চমকপ্রদ তথ্য নিয়ে আজকের প্রতিবেদন।
জন্ম: নায়করাজ রাজ্জাকের জন্ম ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি। অবিভক্ত ভারতের কলকাতার কালীগঞ্জের নাকতলায় ঘর আলোকরে আবির্ভাব তার।
প্রথম মঞ্চনাটক: কলকাতার খানপুর হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় স্বরসতী পূজায় মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেন রাজ্জাক। তার গেম টিচার রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তাঁকে বেছে নেন নায়ক অর্থাৎ কেন্দ্রীয় চরিত্রে। শিশু-কিশোরদের নিয়ে লেখা নাটক বিদ্রোহীতে গ্রামীণ কিশোর চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়েই নায়ক রাজের অভিনয়ে সম্পৃক্ততা।
বোম্বে নয় ঢাকায় যাত্রা: ১৯৬৪ সালের দাঙ্গার পর রাজ্জাক ঠিক করলেন, বোম্বে যাবেন। পরে মাইগ্রেশন করে খুলনা বর্ডার দিয়ে শিমুলিয়া হয়ে ঢাকায় চলে এলেন রাজ্জাক।
বিয়ে: ১৯৬২ সালে বিয়ে করেন। স্ত্রী রাজলক্ষ্মী ও আট মাসের সন্তান বাপ্পারাজকে সঙ্গে করে ঢাকায় আসেন রাজ্জাক। হাতে কাজ নেই। শুরু হলো সংগ্রামী জীবন।
ঢাকায় প্রথম কাজ: প্রথমদিকে রাজ্জাক তৎকালীন পাকিস্তান টেলিভিশনে ঘরোয়া’ নামের ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করে দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় হন। নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে তিনি আব্দুল জব্বার খানের সাথে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করার সুযোগ পান।
সহকারী পরিচালক: ঢাকায় এসে শুরুতে অভিনয়ের সুযোগ সেভাবে হয়নি, পরিচালকের সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন। কাগজের নৌকা, কাগজের বৌ, ১৩ নং ফেকু ওস্তাগার লেন—ছবিতে ছোট চরিত্রে অভিনয় করলেন।
পরিচালনা: অনেক কাজই করতে হয়েছে নায়করাজকে। অভিনয় ছাড়া পরিচালনাও করেছেন। তাঁর প্রথম পরিচালিত ছবি ‘অনন্ত প্রেম’।
প্রথম নায়িকা: রাজ্জাকের প্রথম নায়িকা সুচন্দা। ১৯৬৬ সালে মুক্তি পাওয়া জহির রায়হান পরিচালিত ‘বেহুলা’ ছবিটি দারুণ ব্যবসা করে।
নায়করাজ উপাধি: সুচন্দা, কবরী, ববিতাসহ অসংখ্য নায়িকার সঙ্গে জুটি বাঁধেন নায়করাজ। হন সফল। বাংলা চলচ্চিত্র পত্রিকা ‘চিত্রালী’র সম্পাদক আহমদ জামান চৌধুরী তাঁকে ‘নায়করাজ উপাধিতে ভূষিত করেন।
You must be logged in to post a comment.