সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৪৬ অপরাহ্ন

বেগম খালেদা জিয়ার চরিত্রে নিপুণ, গোপনেই সম্পন্ন হয়েছিল কাজ

বিনোদন প্রতিবেদক / ৫২ জন দেখেছেন
আপডেট : আগস্ট ২১, ২০২৪
বেগম খালেদা জিয়ার চরিত্রে নিপুণ, গোপনেই সম্পন্ন হয়েছিল কাজ
দর্শক ফোরামের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) ‌‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ নামে নতুন একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের ঘোষণা আসে। এবার জানা গেল, সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে এক দশক আগেই, অর্থাৎ ২০১৩ সালে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন কিংবদন্তি গীতিকার-প্রযোজক ও পরিচালক গাজী মাজহারুল আনোয়ার। যেটির শিরোনাম ‘আপসহীন’। আর এ চলচ্চিত্রে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার।

জানা যায়, চলচ্চিত্রটি আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বায়োপিক। অনিবার্য কারণে নির্মাণকালে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়নি, গোপনই ছিল। ১১ বছর পর এবার তা আলোর মুখ দেখতে চলেছে। এ ছবিতে বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভূমিকায় রয়েছেন হেলাল খান।

২০১৩ সালের ডিসেম্বরে শেষ হয়েছিল ছবিটির শুটিং। তখন দ্রুত পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ সম্পন্ন করে সেন্সরে জমা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েছিলেন হেলাল খান। তবে এর আগেই গ্রেপ্তার হন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) এই কর্মী। তিনি সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাস’র নেতা। পরিকল্পনা ছিল, ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের (৫ জানুয়ারি) আগে ছবিটি সারাদেশে মুক্তি দেবেন। কিন্তু হেলাল খান জেলে থাকায় গাজী মাজহারুল আনোয়ার আপসহীন মুক্তির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি।

২০২২ সালে মারা যান গাজী মাজহারুল আনোয়ার। ছবিটি নিয়ে তাঁর অনেক স্বপ্ন ছিল বলে জানা গেছে। সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে ছবিটি শিগগিরই মুক্তি দিতে চান হেলাল খান। এর আগে অবশ্যই বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে একবার দেখা করতে চান তিনি।

গণমাধ্যমে হেলাল খান বলেন, ‘ম্যাডাম অসুস্থ। এই মুহূর্তে এটা নিয়ে কথা বলাটা ঠিক হবে না। তিনি সুস্থ হলেই ছবিটি নিয়ে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করব। তিনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই হবে।’

এই অভিনেতা আরও বলেন, ‘মাঝখানে ১১ বছর পেরিয়ে গেছে। এর মধ্যে অনেক কিছু ঘটে গেছে। তাই ছবিটিতে বেশ কিছু পরিবর্তন-পরিমার্জন করতে হবে। আশা করছি, এই বছরই দর্শকদের ছবিটি দেখাতে পারব।’

এদিকে, ব্যক্তিজীবনে আওয়ামী লীগের সমর্থক নিপুণ আক্তার। ছবিটিতে যুক্ত হওয়ার নেপথ্যের ঘটনা জানিয়ে তিনি বললেন, “একদিন গাজী মাজহারুল আনোয়ার আঙ্কেল আমার বাসায় আসেন। ছবিটির কথা জানালেন। তখন শাহ আলম কিরণ ভাইয়ের ‘৭১-এর মা জননী’ ছবির শুটিং চলছে। আমাকে আঙ্কেল বললেন, চলচ্চিত্রটি ম্যাডাম খালেদা জিয়ার জীবনী নিয়ে। আমাকে তাঁর চরিত্রেই রূপদান করতে হবে। জানতে চাইলেন, আমার আপত্তি আছে কিনা? জানালাম, অভিনেত্রী হিসেবে ম্যাডামের চরিত্রে অবশ্যই অভিনয় করা উচিত। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তখন বিরোধীদলীয় নেত্রী হিসেবে রাজপথে সরব। আমি রাজি হওয়ায় আঙ্কেল খুব খুশি হলেন। জানালেন, আমার আগে জয়া আহসান ও নুসরাত ইমরোজ তিশার কথা উঠেছিল। তবে গাজী আঙ্কেলই হেলাল ভাইকে বলেছিলেন, নিপুণ হলে ম্যাডামের চেহারার সঙ্গে দারুণ মিলবে।’

এই চিত্রনায়িকা আরও জানান, শুটিংয়ের আগে বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে অনেক পড়াশোনাও করেছেন তিনি। এ বিষয়ে গাজী মাজহারুল আনোয়ারই তাঁকে সহযোগিতা করেছেন।

প্রয়াত গাজী মাজহারুল আনোয়ারের সন্তান সরফরাজ আনোয়ার উপলও চান ছবিটি দ্রুত মুক্তি পাক। গণমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘আমরা পারিবারিকভাবেও উদ্যোগ নিয়েছি বাবার সব সৃষ্টি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে। হেলাল আঙ্কেল এখন দেশে আছেন। আমি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করব। এটিই আমার বাবার নির্মিত শেষ চলচ্চিত্র। দর্শক দেখলে বাবার আত্মা শান্তি পাবে। এটা শুধু যে একটা চলচ্চিত্র তা কিন্তু নয়, একই সঙ্গে সফল রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার জীবনীও। দেখলে দর্শক জানতে পারবে দেশের প্রতি তাঁদের ভালোবাসা, ত্যাগ ও মহিমার কথা।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

এ বিভাগের আরো খবর

২১ জুন-23 অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান