প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বকাপ হচ্ছে অথচ আমাদের টিম নেই, এটা আসলে কষ্ট দেয়। রোজ খেলা দেখি, আর এটা ভাবি। তিনি বলেন, আমাদের ছেলে-মেয়েরা অত্যন্ত মেধাবী, গুণী। তারা একটু সুযোগ পেলে অসাধ্য সাধন করতে পারে। তবে আমাদের মেয়েরা অনেক ভালো করছে। মেয়েরা সাফ গেমস, এশিয়ান গেমসসহ বিভিন্ন গেমসে ভালো ফুটবল-ক্রিকেট খেলছে। আমি মনে করি, আমাদের ছেলেরাও পারবে।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে ‘বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ’র তৃতীয় আসরের সমাপনী ও পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
খেলাধুলা নিয়ে সরকারের নানা উদ্যোগের ফিরিস্তি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই প্রতিযোগিতার মধ্যদিয়ে আমাদের খেলোয়াড়রা বিকশিত হচ্ছে। এটা যত অব্যাহত থাকবে, ততই বিকশিত হতে থাকবে। একসময় রিফিউজি হিসেবে ছিলাম। এরপর আমরা বাংলাদেশে আসার পর থেকে এই খেলাধুলাকে প্রাধান্য দিচ্ছি। আমরা খেলাধুলা করা পরিবারেরই সদস্য।
তিনি আরও বলেন, খেলাধুলা ও প্রতিযোগিতা যুবসমাজকে পথ দেখায়। যত বেশি খেলাধুলা করবে মন ও শরীর ভালো থাকবে। খেলাধুলায় যে প্রতিযোগিতা, তা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে। মাদক ও জঙ্গিবাদে আমরা বিশ্বাস করি না। সেজন্য খেলার সুন্দর পরিবেশ করে দিয়েছি। আমি জানি, এজন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা লাগে। সেটা করেই যাচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ক্রীড়া প্রশিক্ষণের জন্য শুধু ঢাকা নয়, ৮টা বিভাগে একটা করে বিকেএসপি করে দিচ্ছি। যে যে ইভেন্টে আমাদের ছেলেরা খেলার যোগ্য, সেই ইভেন্টগুলোতে যেন চর্চা হয়। বিশেষ করে প্রশিক্ষণ একান্তভাবে দরকার। স্বাধীনতার পরপর জাতির পিতা আমাদের দেশের খেলোয়াড়দের জার্মানি, ভারতসহ অন্যান্য দেশে পাঠিয়েছিলেন। ট্রেনিং করিয়ে এনেছিলেন।
নিজেকে খেলাধুলা করা পরিবারের সদস্য জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরাও সেভাবে আমাদের ছেলে-মেয়েদের স্পোর্টসের বিভিন্ন শাখায় ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করে দিতে এবং খেলাধুলার জন্য আরও সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে চাই। আমি জানি, আমাদের সুযোগ একটু সীমিত, তবে আমাদের চেষ্টা রয়েছে। আমরা আরও সুযোগ সৃষ্টি করে দেব। আমাদের ছেলেমেয়েরা যথেষ্ট ভালো করেছে, আরও ভালো করবে। আজকে যারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। এই প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে আমাদের খেলোয়াড়রা বিকশিত হচ্ছে। এটা যত অব্যাহত থাকবে, তত বিকশিত হতে থাকবে।
অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, সচিব মেজবাহ উদ্দিন, বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ খেলোয়ার ও আয়োজকরা উপস্থিত ছিলেন।
You must be logged in to post a comment.