মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২৩ অপরাহ্ন

বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান কে এই ‘গানিম’

ফোরাম প্রতিবেদক / ১১২ জন দেখেছেন
আপডেট : নভেম্বর ২১, ২০২২
বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান কে এই 'গানিম'
দর্শক ফোরামের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর শুরু হয়েছে কাতার বিশ্বকাপ ২০২২। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মরুভূমির ছাপ, আরব সংস্কৃতি তো ছিলই। এর সঙ্গে ছিল হলিউড তারকা মরগ্যান ফ্রিম্যানের সঙ্গে শরীরের অর্ধেক অংশ না থাকা একজনের পারফরম্যান্স। তিনি আসলে কে? এই ব্যক্তির নাম গানিম আল মিফতাহ । গত এপ্রিলে গানিম আল-মিফতাহকে কাতারের পক্ষ থেকে ফিফা বিশ্বকাপের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে নির্বাচন করা হয়।

গানিম আল-মিফতাহ ২০০২ সালে কডাল রিগ্রেশন সিনড্রোম (সিডিএস) নামের বিরল ব্যাধি নিয়ে জন্মগ্রহণ করেন, যা তার দুই পাসহ নিম্ন মেরুদণ্ডের বিকাশকে ব্যাহত করে। তবে জীবনযুদ্ধে সব বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে এ তরুণ এখন সবার আশা ও অনুপ্রেরণার পাত্র। ভবিষ্যতে নিজেকে একজন কূটনীতিক হিসেবে গড়ে তুলতে চান। তিনি রাস্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। নানা ধরনের অক্ষমতা ও প্রতিবন্ধকতার পরও গানিম নিজেকে সাঁতার, স্কুবা ডাইভিং, স্কেটবোর্ডিং রক ক্লাইম্বিংয়ের মতো বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে মাতিয়ে রাখেন। তাঁকে কাতারের সবচেয়ে কম বয়সী উদ্যোক্তা হিসেবে মনে করা হয়। ঘারিসা আইসক্রিম নামে তার একটি প্রসিদ্ধ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ ছাড়া প্রতিবন্ধী শিশুদের সহযোগিতার জন্য তার আছে দাতব্য সংস্থা।

২০১৮ সালে কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত টেডএক্সে বক্তব্য দিয়ে বিশ্বে আলোড়ন তৈরি করেন গানিম। ২০০৯ সালে টোয়েন্টিফার্স্ট সেঞ্চুরি লিডার্স ফাউন্ডেশন কর্তৃক একজন আনসান হিরো বা অদৃশ্যে থাকা বীর হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। ২০১৪ সালে কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল-আহমদ আল-সাবাহ কর্তৃক শান্তি দূত হিসেবে নিযুক্ত হন। কাতার ফিন্যানশিয়াল সেন্টার কর্তৃপক্ষের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরের দায়িত্ব পালনসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন সম্মাননা পুরস্কার ও পদ লাভ করেন তিনি।

ফিফা বিশ্বকাপের ইতিহাসে এবারই প্রথম কোনো আরব-মুসলিম দেশে ফুটবল বিশ্বকাপ শুরু হয়েছে। আরব-ইসলামী স্থাপত্যশৈলীতে তৈরি ৮ স্টেডিয়ামে ২৯ দিনে অনুষ্ঠিত হবে ৬৪টি ম্যাচ। সারা বিশ্ব থেকে আসা ফুটবলভক্তদের সামনে ইসলামের সঠিক চিত্র তুলে ধরতে কাতারের আওকাফ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং ইসলাম’ নামে ছয় ভাষায় একটি ই-বুক প্রকাশিত হয়েছে। তা ছাড়া দোহার বিভিন্ন স্থানে আরবি ও ইংরেজিতে মহানবী (সা.)-এর হাদিসসংবলিত দেয়ালচিত্র দেখা যায়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

এ বিভাগের আরো খবর

২১ জুন-23 অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান