নতুন স্বাক্ষী নতুন দৃশ্য দিয়ে নতুন জগতে প্রবেশ করলো আরব ভূমি। আরব মরুতে চলছে ফুটবল বিশ্বকাপের ঝংকার। রবিবার (২০ নভেম্বর) রাত দশটায় শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে আলোর রোশনাইয়ে যেন ঢেলে পড়ছিল কাতারের বিভিন্ন শহরে।
কাতারের আল বায়ত স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টার পর ৬০ হাজার দর্শকের সামনে শুরু হয়েছে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। অল্প সময়ের অনুষ্ঠানে ড্রামের আওয়াজ, গান আর নৃত্যের ছন্দে দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন শিল্পীরা।
বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এবারের আসরের থিম সং ‘দ্য ওয়ার্ল্ড ইজ ইওরস টু টেক’ গেয়ে মঞ্চ মাতিয়েছেন ডমিনিক গাইছেন লিল ববি। তার গানের সঙ্গে মঞ্চ মাতান অনেক তারকারা। অংশগ্রহণকারী ৩২টি দেশের পতাকা ও জার্সি পরে সবাইকে মুগ্ধ করেন পারফর্মাররা। ২০১০ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শাকিরার ‘ওয়াকা ওয়াকা’ ও ২০১৪ বিশ্বকাপে পিটবুল, জেনিফার লোপেজের গাওয়া ‘ওলে ওলা’ গানেও পারফর্ম করা হয় মরুর বুকে। গানের পাশাপাশি তুলে ধরা হয় কাতারের ঐতিহ্য-সংস্কৃতি।
শুরুর গান শেষ হতেই মঞ্চে পা রাখেন হলিউড কিংবদন্তি মরগান ফ্রিম্যান। তিনিও কিছুক্ষণ মাতান ভক্তদের। এরপর আসেন দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় ব্যান্ড বিটিএসের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য জাংকুক। কাতার বিশ্বকাপের অফিসিয়াল গান ‘ড্রিমারস’ গান তিনি। তার সুরের ছন্দে তাল মেলায় কাতার বিশ্বকাপের মাসকট লা’ইব। তাদের সঙ্গে গেয়েছেন কাতারের গায়ক ফাহাদ আল কুবাইশি।
এরপর সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের ইতি টানেন আয়োজক দেশের কর্মকর্তা। সবাইকে স্বাগত জানান কাতার বিশ্বকাপে। মুহূর্তেই আতশবাজির ঝলকানিতে আলোকিত হয়ে ওঠে আল বায়ত স্টেডিয়াম। পর্দা ওঠে বিশ্বকাপের ২২তম আসরের। এক মাসের ফুটবল যজ্ঞে বেরিয়ে আসবে নতুন চ্যাম্পিয়ন। কাঙ্ক্ষিত শিরোপা যেতে পারে পুরোনো কোনো হাতেও।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে শীতকালে এটাই প্রথম আসর। আরব বিশ্বেও এই প্রথম অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্বকাপ। আর বিশ্বকাপে প্রথম কোরিয়ান হিসেবে উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেন জাংকুক। এশিয়ায় এটি দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। ২০০২ সালে জাপান–কোরিয়া বিশ্বকাপে সিউলের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান ছিল চোখ ধাঁধানো।
You must be logged in to post a comment.