বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি)। নামে যদিও আছে উন্নয়ন, তবে কাজে নেই খুব একটা। ১৯৫৭ সালে যাত্রা শুরু করা সিনেমার এই আঁতুড়ঘরে একাধিক শুটিং ফ্লোরের পাশাপাশি যেমন রয়েছে- ডাবিং থিয়েটার, এডিটিং রুম-সহ চলচ্চিত্র সম্পাদনার নানা কক্ষ, তেমনি আছে প্রশাসনিক ভবনসহ সিনেমা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের কার্যালয়।
কেপিআইভুক্ত সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটির ভেতরে প্রযোজক-পরিচালক-শিল্পী সমিতিসহ রয়েছে মোট ৭টি সংগঠনের কার্যালয়। এর মধ্যে কেবল প্রযোজক সমিতি ছাড়া, বাকি সব সংগঠনের কাছে কার্যালয়ের ভাড়া ও বৈদ্যতিক বিল বাবদ বিএফডিসির পাওনা প্রায় ৭ কোটি টাকা! শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে। এ জন্য যতটা না দায়ী কর্তৃপক্ষ তার চেয়েও যেন বেশি দায়ী সিনেমার মানুষেরা।
বিএফডিসি ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন বলেন, আমরা সমিতির সংশ্লিষ্টদের পাঠাগারে বসার রুম দিয়েছিলাম। তাদেরই প্রয়োজনে দেয়া হয়েছে। সেখানের প্রতিনিয়তই তাদেরকে বিলের চিঠি দিয়ে যাচ্ছি। তারা সমাজের সংবেদনশীল অংশ। আমরা আশা করছি তারা এগুলো শোধ করে দেবেন।
এ বিষয়ে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান বলেন, আমাদের টাকা দেয়ার প্রশ্নই আসে না। সমিতি এই চলচিত্রের জন্য অনেক কাজ করে যাচ্ছে। এই পরিচালকরা যদি না থাকতো তাহলে চলচ্চিত্র জগত কিন্তু বন্ধ হয়ে যেতো।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক সভাপতি মিশা সওদাগর বলেন, আমরা যখন সমিতি চালিয়েছি তখনই বকেয়ার বিষয়ে শুনেছিলাম। আমরা সেই বিল বাবদ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। এরপরে আর দেয়া হয়নি।
এমন বাস্তবতায় প্রশ্ন উঠেছে, সরকারি প্রতিষ্ঠানের ভেতরে বেসরকারি কার্যালয়ের এই বকেয়া বিলের অংকটা আর কতোদূর এগুবে? কতোদূর এগুলে টনক নড়বে কর্তৃপক্ষের? উত্তর জানা নেই কারও।
You must be logged in to post a comment.