আমদানির মাধ্যমে ভারতীয় ছবি মুক্তি পাক কোনোভাবেই চাইছেন না অভিনেতা ও প্রযোজক মনোয়ার হোসেন ডিপজল। তবে ইলিয়াস কাঞ্চন, নিপুণ, কাজী হায়াতসহ অনেকের মতামত, সিনেমা হল বাঁচাতে কিছু কিছু ভারতীয় ছবি আমদানি করা যেতে পারে। তারা বলছেন, উৎসব বা বিশেষ দিবসগুলো ছাড়া আমদানি করে হিন্দি ছবি মুক্তি দেয়া যেতে পারে।
তবে শুরু থেকে ডিপজল আমদানি ছবির ব্যাপারে তার অবস্থানে অনড়। তিনি বলেন, হিন্দি সিনেমা মুক্তি দেয়ার ফলে নেপালের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি ধ্বংস হয়ে গেছে। দেশটির সমৃদ্ধ সিনেমা হিন্দি সিনেমার কবলে পড়ে বিলীন হয়ে গেছে। আমাদের দেশে যদি একের পর এক হিন্দি সিনেমা চালানো হয়, তাহলে আমাদের চলচ্চিত্রও নেপালের মত ধ্বংস হয়ে যাবে।
বাংলা চলচ্চিত্রের নিজস্ব কিছু থাকবে না উল্লেখ করে ডিপজল বলেন, বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি বলতে কিছু থাকবে না। আমাদের শিল্প ও সংস্কৃতিতে চরম আঘাত করবে। যদিও আগে হিন্দি সিনেমা চালিয়ে দর্শকদের সাড়া পাওয়া যায়নি। নতুন করে হিন্দি সিনেমা আমদানির পায়তারা আমাদের ফিল্মের ধ্বংস ডেকে আনবে।
ডিপজল আরও বলেন, দর্শক আমাদের দেশের শিল্প ও সংস্কৃতির সিনেমাই দেখতে চায়। ইতোমধ্যে ‘হাওয়া’ ও ‘পরাণ’সহ আরও বেশ কিছু সিনেমা দিয়ে আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। সিনেমাগুলো কোটি কোটি টাকা ব্যাবসা করেছে। যে প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যা ৪০-৫০ এ নেমে এসেছিল, এখন তা বেড়ে দ্বিগুণ-তিনগুণ হয়েছে।
নিজের উদাহরণ দিয়ে এই খল অভিনেতা বলেন, আমার পাঁচটি সিনেমা মুক্তির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী রোজার ঈদে একটি, কোরবানির ঈদে একটি, দুই ঈদের মাঝে একটি এবং কোরবানির ঈদের পর বাকি দুটি সিনেমা মুক্তি দেব। আরও ছয়-সাতটি সিনেমার কাজ চলছে।
অন্যদের সিনেমারও কাজ চলছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এসব সিনেমা মুক্তি পেলে আমাদের ইন্ডাস্ট্রি ঘুরে দাঁড়াবে। এ অবস্থায় হিন্দি সিনেমা আমদানি ও মুক্তি দিলে আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থমকে যাবে। আমাদের সিনেমাগুলোর কি হবে?
যদি হিন্দি সিনেমা আমদানি ও মুক্তি দেয়া হয়, তাহলে চলচ্চিত্রকে ঘুরে দাঁড় করানোর জন্য আমরা যারা একের পর এক সিনেমা নির্মাণ করছি, তারা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবো। পুরো ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ধ্বংসের মুখে পড়বে। কাজেই আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি এবং আমাদের দেশের সিনেমা বাঁচাতে বিদেশি সিনেমা আমদানি বন্ধ করতে হবে।
You must be logged in to post a comment.