ইচ্ছেশক্তি ও চেষ্টা থাকলে মানুষ পারেনা এমন কিছু নেই। অদম্য ইচ্ছে ও নিরন্তর সাধনা দিয়ে মানুষ অনেক কিছুই জয় করে। সেই জয়ী ব্যক্তিদের তালিকায় এখন আলোচনায় আছেন ভারতীয় সঙ্গীতাঙ্গনের অন্যতম তারকা আদনান সামি। ভক্ত ও শ্রোতাদের মুখে মুখে এখন তার গানের পাশাপাশি ঘুরছে সেই জয়ের গল্প।
একসময় আদনান সামি বলতেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে উঠতো ভারী শরীর ও নাদুস নুদুস চেহারা। কিন্তু এখন আর তার সেই রূপ নেই। বরং অন্য রূপের ছবি ভাসছে সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে। না, তাতে তার আকর্ষণ বিন্দুমাত্র কমেনি দর্শকদের মাঝে। বরং দর্শকরা বিস্মিত এই কারণে কীভাবে এই অচেনা রূপে আসলেন আদনান সামী।
আজ থেকে কয়েক বছর আগে আদনান সামি তার ওজন ২২০ থেকে কমিয়ে মাত্র ৬৫ কেজিতে নিয়ে এসেছিলেন। মাত্র ১৬ মাসে ১৫৫ কেজি কমিয়ে রীতিমতো খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন তখন।
২০০৫ সালে সামির ওজন ছিল ২২০ কেজি! গুরুতর অসুস্থ হয়ে তো সেবার মরতেই বসেছিলেন।
চিকিৎসকরা তাঁকে বলে দেন ওজন না কমালে আর মাত্র মাস ছয়েক বাঁচবেন। এরপর শুরু হয় তাঁর ওজন কমানোর যুদ্ধ। ২২০ থেকে কমিয়ে ১৫৫ কেজি হয়েছেন। তাতেই বিস্ময়ের শেষ ছিল না অনেকের। তবে সামি তখনো চমক দেওয়ার অনেক কিছু বাকি রেখেছিলেন।
আজ থেকে বছর চারেক আগে অর্থাৎ ২০১৮ সালের দিকে সামি তার ওজন ১৫৫ থেকে কমিয়ে ৭৫ কেজিতে নিয়ে আসেন। আর এখন তার ওজন ৬৫ কেজি!
সামির এমন পরিবর্তনে নিন্দুকরা তার শরীরে বিশেষ অস্ত্রোপাচারের কথা ইঙ্গিত করলেও সামি বলছেন ভিন্ন কথা। সম্প্রতি ভারতীয় বিনোদন মাধ্যম বলিউড হাঙ্গামাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সামি বলছেন, ‘ওজন কমানোর পুরো প্রক্রিয়ার ৮০ শতাংশই মানসিক, বাকি ২০ শতাংশ শারীরিক।’ ‘মানসিক’ বলতে এই গায়ক নিজেকে সকল লোভনীয় সব খাবার থেকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার কথা বলেছেন এমনটাই মনে করছেন অনেকে।
একই সাক্ষাৎকারে সামি জানান, ওজন কমানোর যাত্রায় শুরুতেই ভারী ব্যায়াম করতে ডাক্তাররা নিষেধ করেছিলেন। প্রথমে নজর দেওয়া হয় খাবার ও হালকা ব্যায়ামে। পুষ্টিবিদের নির্দেশনা মেনে কম কার্বোহাইড্রেট ও বেশি প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খেয়েছেন তিনি। ওজন যখন ধীরে কমতে শুরু করেছে তখনই শুরু করেন ব্যায়াম। তবে শুধু ওজন কমালেই তো হবে না, ধরে রাখতেও হবে। সেটা যে আদনান সামি গায়ক ভালোমতোই করেছেন, সে তো বোঝা যাচ্ছে তার সাম্প্রতিক সময়ের ছবিগুলো দেখে।
You must be logged in to post a comment.