কলকাতায় খুব প্রচলন পাইস হোটেলের। মানে রাস্তার পাশে বাহারি পদের হোটেল। সেটা দিয়েই সংসারের হাল ধরেছিলেন কলকাতার মেয়ে মমতা গঙ্গোপাধ্যায় ওরফে নন্দিনী দিদি।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের মতে, ডালহৌসির অফিস পাড়ায় ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়া সুন্দরী নন্দিনীকে ভাতের হোটেল চালাতে দেখে চোখ আটকে যায় এক ফুড ভ্লগারের। তাঁর ভিডিও ভাইরাল হতেই, নন্দিনীর নাম ডাক ছড়াতে থাকে। দোকানে জমতে থাকে ভিড়।
বিষয়টিকে একবারে কাজে লাগিয়ে ফেলেন দিদি। ভালো কাজের পাশাপাশি নানা রকম বিতর্ক তুলেও নিজের জনপ্রিয়তা জিইয়ে রাখেন। আর এখন সেই নামটা পৌঁছে গেছে টালিগঞ্জে। হচ্ছেন তিনি সিনেমার নায়িকা। ‘তিন সত্যি’ নামের একটি ছবিতে কাজ করছেন এই পাইস হোটেলের মালিক। সেই ছবিতে আছেন কিংবদন্তি সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ও।
এদিকে নায়িকা হওয়ার আগে নানা রকম কাজ করে নিজেকে প্রচারের আলোয় রেখেছিলেন নন্দিনী।
কখনও দোকানে আসা গ্রাহককে চড় মেরে, তো কখনও বাবার ওপর অকথ্য ভাষায় চিৎকার করে আবার কখনও ইউটিউবারদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে উঠে এসেছেন চর্চায়।
নন্দিনী দিদি প্রসঙ্গে জানা যায়, নিজের দোকান তো বটেই তিনি হাজির হচ্ছেন অন্যদের দোকানেও। কলকাতার রেস্তোরাঁর চেইন- ডব্লিউ টিএফের নতুন ব্রাঞ্চ উদ্বোধনও করেছেন তিনি। দিচ্ছেন খাবারের বিশেষজ্ঞ মন্তব্য। অংশ নিয়েছেন জি বাংলার জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘দিদি নম্বর ১’-এ। সেটাও তার জন্য ইতিবাচক প্রভাব রাখে।
সেখানে জানিয়েছিলেন, পরিবার নানা রকম ওঠাপড়ার মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন তিনি। রোগেভুগে তিনি নিজেও দীর্ঘদিন ছিলেন শয্যাশায়ী এক সময়। বাবার চাকরি চলে গেলে, আর্থিক সংকটের মুখেও পড়তে হয় তাঁদের। এই ঘটনাগুলোও বেশ লুফে নেয় দর্শকরাও। ইউটিউবের বাইরেও খ্যাতি পেয়ে যান তিনি।
এদিকে নতুন ছবি প্রসঙ্গে জানা যায়, এতে নন্দিনীর চরিত্রের নাম নিলাক্ষী।। যে পেশায় একজন লেখিকা। তবে এই গল্পে রয়েছে টানটান রহস্য। মিতিন মাসির পর এক মহিলা বাঙালি গোয়েন্দাকে পাবেন দর্শক। সঙ্গে সম্পর্কের নানা টানাপোড়েনও এই সিনেমার অন্যতম আকর্ষণ। ছবি পরিচালনা করছেন প্রিয়দর্শী বন্দ্যোপাধ্যায়।
You must be logged in to post a comment.