লুসাইল স্টেডিয়ামে গত ১৮ই ডিসেম্বর শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জয় করেছে আর্জেন্টিনা। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের শেষে ৩-৩ গোলে সমতা থাকলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে ফ্রান্সকে ৪-২ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। ঘুচেছে ৩৬ বছরের আক্ষেপ। কিন্তু আর্জেন্টিনার শিরোপা জয় কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না ফ্রান্সের সমর্থকরা।
শিরোপা হাতছাড়া হওয়া সেই ম্যাচে পোলিশ রেফারি সিমন মারচিনিয়াকের কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তোষের সৃষ্টি হয় ফ্রান্স সমর্থকদের মধ্যে। শিরোপা জেতার ম্যাচে আর্জেন্টিনার তৃতীয় ও মেসির করা দ্বিতীয় গোলটি নিয়ে প্রশ্ন উঠে। ফ্রান্সের গণমাধ্যম ‘এল-ইকুইপ’ দাবি করে, আর্জেন্টিনার তৃতীয় গোলটি অবৈধ ছিল। কারণ গোল হওয়ার সময় মাঠে আর্জেন্টাইন বদলি খেলোয়াড়েরা ঢুকে পড়েছিলেন। তারা আবারও ফাইনাল আয়োজনের জন্য পিটিশন দায়ের করছেন।
ফরাসিদের এমন আবদারে’ চুপ করে বসে নেই আর্জেন্টাইনরাও। এবার ফ্রান্সের দাবির বিপক্ষে পাল্টা পিটিশন দায়ের করছেন আর্জেন্টিনার সমর্থকরা। ফরাসিদের ‘কান্না’ বন্ধ দেখতে চান বিশ্বকাপজয়ী দলটির সমর্থকরা। এজন্য অনলাইন প্ল্যাটটফর্ম চেঞ্জ ডট অর্গে চলছে স্বাক্ষর সংগ্রহ। ভ্যালেন্তিন গোমেজ নামের এক ব্যক্তির চালু করা এই পিটিশনে ৬ লাখের বেশি মানুষ সই করেছেন।
এর আগে ‘মেসওপিনিয়নস’ নামের প্ল্যাটফর্মে বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচ পুনরায় খেলার দাবিতে পিটিশন দায়ের করেন ‘ফ্রান্স ফরএভার’ নামের এক ব্যবহারকারী। পিটিশনের শিরোনাম ‘ফ্রান্স-আর্জেন্টিনা ম্যাচ আবার হোক’। সেখানে লেখা হয়, ‘রেফারিকে কিনে নেওয়া হয়েছিল, পেনাল্টিটি হয় না। দ্বিতীয় গোলের আগে এমবাপ্পে ফাউলের শিকার হয়। ম্যাচটি পুনরায় খেলার দাবিতে সই করুন। ’ আজ রোববার সকাল পর্যন্ত ২ লাখ ২৫ হাজার মানুষ এতে সই করেন।
ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে জানা গেছে, ৫ লাখ সই টপকে গেলে পিটিশনটি ফরাসি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সর্বোচ্চ সই পাওয়া তিনটি পিটিশনের একটি হবে। পিটিশনে সই করা বেশির ভাগ নাগরিকই ফ্রান্সের এবং মন্তব্যসংখ্যা রোববার ৯৪ হাজার ছাড়িয়েছে।
You must be logged in to post a comment.