‘বুমেরাং’ সিনেমাতে ন্যাড়া মাথা লুকের জন্য টলিপাড়ায় চর্চায় রয়েছেন অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্র। এই সিনেমাতে জিতের সঙ্গে দেখা যাবে রুক্মিণী মৈত্রকে। জিৎ প্রযোজিত এই সিনেমাটি পরিচালনা করছেন সৌভিক কুণ্ডু। প্রেক্ষাগৃহে আগামী ৭ জুন মুক্তি পেতে চলেছে নতুন সিনেমা ‘বুমেরাং’।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইনকে এক সাক্ষাৎকারে ন্যাড়া মাথা প্রসঙ্গে রুক্মিণী বলেছেন, ‘এই লুক খুব ভাল। অনেকেই প্রশংসা করেছেন। এমনকি, মুম্বাইয়েও আমার লুক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আসলে এই প্রথম আমার কোনো লুক নিয়ে এতটা চর্চা হল।’
বর্তমানে রুক্মিণী টলিপাড়ার প্রথম সারির অভিনেত্রী। অনেকেই হয়তো এই ধরনের লুকে অভিনয় করতে রাজি হতেন না। কিন্তু এই লুকের জন্য প্রস্তাব পাওয়ার প্রসঙ্গে রুক্মিণী বললেন, ‘মানুষ ভাল বলবেন, না কি খারাপ, আমি সে সব কিছুই ভাবিনি। আমার কাজটা করে ভাল লাগছে কি না, সেটাই বেশি করে মাথায় কাজ করছিল।’
ইদানিং, পান থেকে চুন খসলে তারকাদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রোলিং শুরু হয়। তবে সে সবকে পাত্তা দিতে নারাজ অভিনেত্রী। রুক্মিণীর সাফ উত্তর, ‘লোকে কী ভাববে, সেটা ভেবে জীবন যাপন করলে তখন তা আর নিজের জীবন থাকে না! সেটা করলে আমার জীবনের রিমোটটা তখন তাঁদের হাতে থাকবে। আর আমি সত্যিই রোবট হয়ে যাব।’
সিনেমাতে রুক্মিণীর বিপরীতে রয়েছেন জিৎ। দেব আপাতত নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। দুই সুপারস্টার তাঁর এই লুক প্রথম দেখার পর কী বলেছিলেন? প্রথমেই অভিনেত্রী জিতের প্রসঙ্গে বললেন, ‘জিৎদা খুবই খুশি হয়েছিলেন এবং বিষয়টা সমর্থন করেছিলেন। সেটে প্রথম দিন আমাকে ওই মেকআপে দেখে জিৎদা বললেন, ‘বাহ্! বেশ ভাল লাগছে তো তোমাকে দেখতে।’
অন্যদিকে প্রথম দিন মেকআপ তৈরি হতেই ফ্লোর থেকেই দেবকে নিজের ছবিটি তুলে পাঠিয়েছিলেন রুক্মিণী। ছবিতে বিশেষ কারণে একটি সুপারবাইক ব্যবহার করা হয়েছে। রুক্মিণী বললেন, ‘আমি ওই সুপারবাইকে বসেই ছবিটা তুলে দেবকে পাঠিয়েছিলাম। ও লিখে পাঠিয়েছিল, ‘মাথার চুল ছাড়াও যে তোমাকে এতটা ভাল দেখতে হতে পারে, এর আগে আমার কোনো ধারণা ছিল না।’ আমাকে নাকি সুপার মডেলের মতো দেখতে লাগছে, বলেছিল দেব।’
রুক্মিণীর মতে,‘হলিউডে তো এ রকম লুকে অনেক অভিনেত্রীকেই দেখা গিয়েছে। আসলে ন্যাড়া হয়েও যে গ্ল্যামারাস হওয়া সম্ভব, আমার মনে হয়, লুকটা সে কথাই প্রমাণ করে।’
‘বুমেরাং’ সিনেমা দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেছেন রুক্মিণী। একটি বাস্তব চরিত্র, অন্যটি রোবটের। তিনি জানালেন, রোবটের চরিত্রের রূপটানের জন্য ২ ঘণ্টা সময় লাগত। তারপর ন্যাড়া লুকের জন্য প্রস্থেটিক তৈরিতে আরও ৩ ঘণ্টা।
এ ছাড়া মেকআপের ৫ ঘণ্টা চেয়ারে বসে থাকতে হতো বরুক্মিণীকে। পরিশ্রমের ফল যে ভাল হয়, তা বিশ্বাস করেন রুক্মিণী। বললেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত যখন নিজের লুকটা দেখলাম, তখন বুঝলাম, আমাদের পরিশ্রম সার্থক।’
You must be logged in to post a comment.