স্বস্তিকা মুখার্জী। টলিউড অন্দরমহলে নামটাই যথেষ্ট। তার খোলামেলা সাজ থেকে চাঁচাছোলা কথা—সব কিছুতেই থাকেন শিরোনামে। তাকে নিয়ে চর্চার শেষ নেই সমাজ মাধ্যমের পাতায়। তিনি সাহসী, বেপরোয়া।
এদিকে আজকাল সিনেমার চেয়ে ওয়েব সিরিজে চরিত্রনির্ভর কাজ বেশি করছেন। হিন্দি-বাংলা অভিনয় করছেন। প্রশংসিত হচ্ছে তার অভিনয়।
আগামী ৫ জুলাই মুক্তি পাবে ‘বিজয়া’ ওয়েব সিরিজ। এতে একজন লড়াকু চরিত্রে অভিনয় করেছেন স্বস্তিকা। প্রচারের অংশ হিসেবে ভারতীয় গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। এ সময় কাজ নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ব্যক্তিজীবনের নানা বিষয়ে মনের আগল খুলেছেন অভিনেত্রী।
আলাপচারিতায় স্বস্তিকার বেফাঁস কথাবার্তার জেরে সৃষ্ট বিতর্ক প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়। জানতে চাওয়া হয়, এতে তিনি ভয় পান কি না! উত্তরে অভিনেত্রী বলেন— (আমি খুবই নির্ভীক। আমার মধ্যে ভয়টা খুব কম। আমি এটা বললে, মানুষ আমাকে গালাগাল দেবে, ভয় দেখাবে এগুলো ভেবে পিছিয়ে যাই না। আর লোকে কী বলবে? লোকে আমাকে নিয়ে কী ভাববে? এটা আমাকে একেবারেই বিচলিত করে না। তাই আমার যেটা ঠিক মনে হয়, আমি সেটাই করি।)
তিনি জানান, অভিনয়ে আসার পর থেকেই তাকে নানারকম নেতিবাচক কথা শুনতে হচ্ছে। খারাপ নারীর বদনামও দেয়া হয়েছে। স্বস্তিকার কথায়— (এমনিতেই নারীদের অ্যাটাক বা আক্রমণ করার সোজা পথ হলো, তাকে পতিতা বলে দেয়া। আমি এত বছর ধরে সিনেমায় কাজ করছি, এত ছোট বয়স থেকে এই শব্দটা শুনে আসছি যে, এখন আমার কাছে আর কিছু মনে হয় না। উল্টো আমি সম্মানিতবোধ করি। কোথাও মনে হয় যে, তারাও তো আমাদের সমাজেরই একটা অংশ, তাহলে কেন এটা নিয়ে লজ্জিত হব।)
স্বস্তিকার ব্যক্তিগত জীবনের গল্পটাও সংগ্রামে ভরা। কারণ ১৯৯৮ সালে জনপ্রিয় রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী সাগর সেনের ছেলে প্রমিত সেনকে বিয়ে করেন স্বস্তিকা মুখার্জি। বাবা-মায়ের পছন্দে এ বিয়ে করেছিলেন তিনি। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যে সংসার জীবনে ছন্দপতন ঘটে।
এরপর দুধের শিশু কোলে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে আসেন স্বস্তিকা। তারপর সিঙ্গেল মাদার হিসেবে কন্যা অন্বেষাকে বড় করেছেন এই নায়িকা; মেয়েই এখন স্বস্তিকার বেস্ট ফ্রেন্ড।
You must be logged in to post a comment.