শেষ হলো মিসেস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২২-এর গ্র্যান্ড ফিনালে। দ্বিতীয় বারের মতো আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় প্রায় আট হাজার প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে বিজয়ীর মুকুট পরলেন নূর খান নোলক।
এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য ৮ হাজার প্রতিযোগী রেজিস্ট্রেশন করেন। সেখান থেকে বাছাই করে পাঁচ শতাধিক প্রতিযোগীকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচন করা হয়।
অডিশন রাউন্ডে অংশ নিয়ে ছিটকে পড়ে ৪ শতাধিক প্রতিযোগী। বাকি থাকে ১০০ জন প্রতিযোগী। এরপর চূড়ান্ত প্রতিযোগীতার জন্য ৩ দিনের গ্রুমিং ও মোটিভেশনাল সেশন হয়। এই সেশনে ১০০ জন থেকে বাদ পড়ে আরও ৫০ প্রতিযোগী।
এরপর আরও একবার গ্রুমিং সেশন শেষে মাত্র ২০ জন প্রতিযোগীকে নির্বাচন করা হয় ১১ নভেম্বরের ফাইনাল রাউন্ডের জন্য। চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার ফাইনাল রাউন্ডে বিজয়ীর মুকুট ওঠে নূর খান নোলকের মাথায়। ৫ম স্থান অধিকার করেন ফারহানা মোমেন, ৪র্থ হন ফারিয়াল কামাল, তৃতীয় হন মেহেরীন হামিদ আর দ্বিতীয় হন কানিজ সুবর্না।
মিসেস ইউনিভার্স বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় ‘মিসেস ট্যুরিজম’ খেতাব পেয়েছেন উল্ফা আকতার। ‘মিসেস এশিয়া’ হয়েছেন খাদিজা আকতার রাহা। আর ‘মিসেস আর্থ’ টাইটেল জিতে নিয়েছেন ইসপিতা শবনম স্বর্না।
প্রতিযোগিতায় অডিশনের বিচারকমণ্ডলীর দ্বায়িত্ব পালন করেন প্রখ্যাত আবৃত্তিকার শিমুল মোস্তফা, মডেল ও অভিনেতা মনির খান শিমুল, মডেল ও অভিনয় শিল্পী আসমা পাঠান রুম্পা, মডেল ও অভিনয় শিল্পী অন্তু করিম।
দ্বিতীয় রাউন্ড অডিশনে বিচারকমণ্ডলীর দায়িত্ব পালন করেন চীফ পেট্রন নারী উদোক্তা ও সংগঠক সিমা হামিদ, উপস্থাপক আব্দুন নুর তুষার ও ভিএলসিসি’র মার্কেটিং ম্যনেজার সারা জায়ানা।
বিবাহিত নারীদের প্রতিভা ও মেধার বিকাশ ঘটাতে একটি বড় প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে ‘মিসেস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতাটি। এর মাধ্যমে প্রতিযোগীরা নিজ দেশে নিজেদের প্রতিভা মেলে ধরতে পারছে।পাশাপাশি আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে নিজের দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে ভূমিকা পালন করবে।
You must be logged in to post a comment.