হু হু করে কলেরা বাড়ছে প্রতিবেশী দেশ নেপালে। তার জেরেই এবার কাঠমান্ডুতে নিষিদ্ধ হল ফুচকা। আসলে ফুচকার জলে কলেরার ব্যাকটেরিয়া মিলেছে। এরপর থেকেই সতর্ক প্রশাসন। আর তাই এমন সিদ্ধান্ত।
ইতিমধ্য়েই অন্তত ১২ জনের শরীরে কলেরার জীবাণু ধরা পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে ললিতপুর মেট্রোপলিটন সিটির তরফে জানানো হয়েছে, ফুচকায় ব্যবহৃত জলে কলেরা ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পাওয়ার পরই তা নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বর্ষাকালে জলে নানা রকম সংক্রমণ ধরা পড়ে। এর মধ্যে কলেরা ও ডায়েরিয়ার মতো অসুখ অন্যতম। এই অবস্থায় কাঠমান্ডুর প্রশাসন মনে করছে, দ্রুত ফুচকা বিক্রি বন্ধ না করলে সেখান থেকে সংক্রমণ আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। শুরু থেকেই তা নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে সমস্যা আরও বাড়বে। তাই শহরাঞ্চলের পাশাপাশি শহরতলি বা অন্যত্রও যাতে আপাতত ফুচকা বিক্রি না হয় তা নিশ্চিত করতে নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নেপালের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অধীনস্থ এপিডেমিওলজি ও রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের প্রধান চমনলাল দাস এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কাঠমান্ডুতেই ৫ জনের শরীরে কলেরা ধরা পড়েছে। এছাড়াও চন্দ্রগিরি পুরসভা ও বুঝানিকান্তা পুরসভাতেও সংক্রমণের হদিশ মিলেছে। কারও শরীরে কলেরার জীবাণু ধরা পড়লেই সঙ্গে সঙ্গে যেন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আক্রান্তদের সুখরাজ ট্রপিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। এর আগেও কাঠমান্ডুতে পাঁচ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। তাঁদের মধ্যে দু’জনকে ইতিমধ্যেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
সাধারণ ভাবে ভারত, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, নেপালে ফুচকা অত্যন্ত জনপ্রিয় এক খাদ্য। এবার সেই খাবারে কোপ পড়ল কলেরার প্রকোপ রুখতে। সেই সঙ্গে নির্দেশিকা জারি করে সকলকে কলেরা, ডায়েরিয়া ও অন্যান্য জলবাহিত অসুখ থেকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
You must be logged in to post a comment.