অভিনেত্রীকে অপহরণ। বাবা-মাকে টাকা চেয়ে ফোন। কিছুদিন পর পানির ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার নায়িকার মাথাকাটা দেহ। ঘটনা শুনে ভাববেন না কোনো সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের গল্প। এটা একেবারেই বাস্তবে ঘটনা। বলিউড অভিনেত্রীকে এমনই নৃশংসভাবে খুন করেন পরিচিত দুই বন্ধু।
২০১২ সালে মুক্তি পেয়েছিল মধুর ভাণ্ডারকরের ছবি ‘হিরোইন’। ছবিতে প্রধান চরিত্রে দেখা গিয়েছিল কারিনা কাপুরকে। তবে একটি পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেছিলেন মীনাক্ষী থাপা। সেইবছরই মর্মান্তিকভাবে খুন করা হয় তাকে। নৃশংস হত্যাকাণ্ডে কেঁপে উঠেছিল গোটা বলিউড।
নেপালে জন্মগ্রহণ করা মীনাক্ষী থাকতেন ভারতের দেরাদুনে। সেখান থেকেই তিনি অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে মুম্বাইয়ে পাড়ি জমান। নিজের চেষ্টায় কাজের সুযোগও পেয়েছিলেন।
মুম্বাইয়ে যাওয়ার পর নাচের ক্লাস নেয়া শুরু করেন মীনাক্ষি। ২০১১ সালে তিনি একটি ছবিতে কাজের সুযোগ পান। পরে মধুর ভান্ডারকরের ‘হিরোইন’-এ অভিনয়ের সুযোগ পান। এই ছবিতে কারিনার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করতে পেরে খুবই খুশি হয়েছিলেন অভিনেত্রী ।
ছবির সেট থেকেই হঠাৎ একদিন রহস্যময়ভাবে উধাও হয়ে যান মীনাক্ষি। পরে তিনি তার মাকে ফোন করে জানান যে, তার সহ-অভিনেতা এবং বন্ধু অমিত কুমার জয়সওয়াল এবং প্রীতি সুরিনের সঙ্গে এলাহাবাদ যাচ্ছেন।
এরপর থেকেই নায়িকার সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ করা যায়নি। মীনাক্ষী নিখোঁজ হওয়ার দুদিন পর তার মা অপরিচিত নম্বর থেকে একটি বার্তা পান। তাতে বলা হয়, মেয়েকে নিরাপদ দেখতে হলে তিন দিনের মধ্যে ১৫ লাখ টাকা দিতে হবে। পুলিশকে কিছু বললে মেয়ের অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকিও দেয় তারা। কিন্তু নায়িকার মা হুমকিতে ভয় না পেয়ে পুলিশকে সব খুলে বলেন।
পরবর্তীকালে পুলিশি তদন্তে জানা যায়, মীনাক্ষীকে অপহরণ করেছিলেন তার ওই দুই বন্ধুই। টাকার জন্যই অভিনেত্রীকে অপহরণ করেছিলেন তারা। পরে ঘটনায় অভিযুক্ত অমিত পুলিশের কাছে অপহরণের কথা স্বীকারও করেছিলেন।
মিডিয়া রিপোর্ট এবং তদন্তে জানা যায়, টাকা না পেয়েই মীনাক্ষীকে খুন করেন অমিত। তার মাথা কেটে নেয়া হয়। দেহ ফেলে দেওয়া হয় পানির ট্যাঙ্কে। তারপর মুম্বাই ফেরার পথে রাস্তাতেই বাস থেকে তার কাটা মাথা ফেলে দেয়া হয়েছিল।
You must be logged in to post a comment.