শনিবার (২ নভেম্বর) শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় একদল ব্যক্তির বিক্ষোভের মুখে দেশ নাটকের ‘নিত্যপুরাণ’ প্রদর্শনী মাঝপথে বন্ধ করতে বাধ্য হন একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ। এ ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। অভিনেতা তারিক আনাম খানও বিষয়টি ভালোভাবে নেননি। যাই হোক না কেন, নাটকের প্রদর্শনী বন্ধ করা ঠিক নয় বলেই মন্তব্য করেছেন তিনি।
এই অভিনেতা বলেন, ‘একটি দলের কেউ যদি কোনো দোষ করে থাকে, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। তাই বলে নাটক প্রদর্শনী বন্ধ করা ঠিক নয়; এটি কষ্টের। দলীয় কিংবা আইগতভাবে হোক, দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব। সামগ্রিকভাবে দলকে নিষিদ্ধ করা সঠিক হবে না। দল তো কোনো দোষ করেনি। নাট্যদলের অনেক লোক তো আন্দোলনের পক্ষেও কাজ করেছেন।’
পাশাপাশি নাট্যদলের দায়িত্বশীলদের একটু সংযত আচরণ করা উচিত বলেও মনে করেন তিনি। তারিক আনাম খানের ভাষ্য, ‘শিল্পকলার মহাপরিচালক জামিল আহমেদ একজন নীতিবান মানুষ। তিনি চেষ্টা করেছেন যাতে নাটকের শোটি হয়। শেষ পর্যন্ত তিনি লড়াই করেছিলেন। দর্শকদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন। শিল্পকলার মতো প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার হিসেবে এর থেকে বেশি করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়নি। নাট্যদলের দায়িত্বশীলদের একটু সংযত আচরণ করা উচিত।’
অন্যদিকে, নাটকের প্রদর্শনী কেন বন্ধ করতে হয়েছিল, সে বিষয়ে নিজের অবস্থান তুলে ধরেছেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ। রোববার (৩ নভেম্বর) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে দেশের ২২ জায়গায় শিল্পকলা একাডেমিতে হামলা হয়েছে। সেসব আমার মাথায় ছিল। ঢাকার শিল্পকলা একাডেমরি ভেতরে দর্শক ছিল। উত্তেজিত কেউ গিয়ে যদি দর্শকদের আক্রমণ করে বসে সে শঙ্কা ছিল। দর্শকের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আমরা প্রদর্শনী বন্ধ করি। আমি ভেতরে গিয়ে দর্শকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছি।’
You must be logged in to post a comment.