রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৫০ পূর্বাহ্ন

নদীর তলদেশে পুরোনো শহরের খোঁজ!

ফোরাম প্রতিবেদক / ৪৩১ জন দেখেছেন
আপডেট : জুলাই ৮, ২০২২
নদীর তলদেশে পুরোনো শহরের খোঁজ!
দর্শক ফোরামের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন

পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে একাধিক সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ। যেগুলি বহন করে চলেছে ইতিহাসের অনন্য সব নিদর্শন। পাশাপাশি, মানবসভ্যতার বিবর্তন তথা তৎকালীন মানুষের জীবনযাত্রার বিষয়টিও ফুটে ওঠে সেগুলিতে। এমতাবস্থায়, সেই রেশ বজায় রেখেই এবার ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলে ৩,৪০০ বছরের পুরোনো একটি আস্ত শহরকে আবিষ্কার করেছেন প্রত্নতাত্ত্বিকদের একটি আন্তর্জাতিক দল।

সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই ঐতিহাসিক শহরের সন্ধান পাওয়া গেছে টাইগ্রিস নদীর তলদেশে। যা, স্বাভাবিকভাবেই অবাক করেছে সবাইকে। পাশাপাশি, প্রত্নতত্ত্ববিদরাই এই তথ্য সামনে নিয়ে এসেছেন। এছাড়াও, ইরাকের টাইগ্রিস নদীর তলদেশ থেকে প্রাপ্ত এই শহরটিতে মিতান্নি সাম্রাজ্য দ্বারা বসতি স্থাপন করা হয়েছিল বলে মনে করছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা।

সর্বোপরি যেটির সময়কাল ছিল প্রায় ১৪৭৫ খ্রিস্টপূর্ব থেকে ১২৭৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দ। অর্থাৎ, এই সুপ্রাচীন শহরটিকেই এবার আবিষ্কার করা সম্ভবপর হয়েছে। মূলত, টাইগ্রিস নদীর তীরে মসুল বাঁধে জল কম থাকায় এই সন্ধানের কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। এই প্রসঙ্গে প্রত্নতাত্ত্বিকরা জানিয়েছেন, এই গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারের ফলে মিতান্নি সাম্রাজ্য সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য জানতে পারা যাবে। পাশাপাশি, তাঁরা এই আবিষ্কারকে সাম্প্রতিক দশকের মধ্যে সম্পন্ন হওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কার বলেও বিবেচিত করেছেন।

নদীর তলদেশে পুরোনো শহরের খোঁজ!

এদিকে, এই শহরের ধ্বংসাবশেষ থেকে ইতিমধ্যেই বেশকিছু জিনিসের অস্তিত্ব সামনে এসেছে। যেগুলির মধ্যে রয়েছে বহুতল ভবন, মাটির ইটের দেওয়াল, একাধিক টাওয়ার সহ বেশ কিছু বড় বড় স্থাপনা। এই প্রসঙ্গে প্রত্নতত্ত্ববিদ ড. ইভানা পুলজিজ জানিয়েছেন যে, প্রাপ্ত ভবনগুলিতে পুরু মাটির দেওয়াল দিয়ে যত্ন সহকারে কিছু নকশা করা হয়েছিল। এর পাশাপাশি, মাটির ১০ টি কিউনিফর্ম ট্যাবলেটও পাওয়া গেছে।

উল্লেখ্য যে, কিউনিফর্ম হল লেখার জন্য ব্যবহৃত একটি প্রাচীন শৈলী। এমতাবস্থায়, এগুলি পাওয়ার পর সেগুলিকে অনুবাদের জন্য পাঠানো হয়েছে। সবচেয়ে অবাক করার মত বিষয় হল, বহুবছর যাবৎ জলে নিমজ্জিত থাকা সত্ত্বেও ওই শহরের মাটির ইটের দেওয়ালগুলো আশ্চর্যজনকভাবে সংরক্ষিত ছিল। জানা গিয়েছে, ১৯৮০-র দশকের গোড়ার দিকে মসুল বাঁধ নির্মিত হওয়ার ফলে শহরটির সলিল সমাধি ঘটে। এমনকি, সেই সময়ে এটি ডুবে যাওয়ার কারণে প্রত্নতাত্ত্বিকরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে সেটির বিশ্লেষণ করতে পারেননি। এমতাবস্থায়, ডিসেম্বর থেকে এই অঞ্চলে তীব্র খরার কারণে এই প্রাচীন শহরের একটি অংশ আবারও সামনে এসেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

এ বিভাগের আরো খবর

২১ জুন-23 অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান