দেশে সিনেমার মার্কেট আছে শত কোটি টাকার। যেসব সিনেমা হল চালু আছে, সেগুলোতে যদি টানা দুই মাস মুক্তি প্রাপ্ত ছবি ভালো চলে তবে শত কোটি টাকা ব্যবসা করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমীর চিত্রশালায় টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (টেজাব) আয়োজিত চলচ্চিত্র বিষয়ক সংলাপে উপস্থিত থেকে সুড়ঙ্গ ও তুফান ছবির এই প্রযোজক বলেন, ফিল্মে কিছু পলিসি আছে এগুলো অতি দ্রুত চেঞ্জ করা উচিত। যদি চেঞ্জ করা যায়, তবে যে কোনো সিনেমা মোটামুটিভাবে রেভিনিউ তুলে আনা সম্ভব।
গল্পের প্রয়োজনে অনেক ভায়োলেন্স বা সত্যটা দেখাতে গেলে সেটা দেখানো যায় না। নতুন যে সার্টিফিকেশন বোর্ড হয়েছে আগের থেকে এখানে কী কী পার্থক্য এবং ‘ল’ আছে সে বিষয়গুলো ভালোভাবে জানানো উচিত।
ব্লকবাস্টার তুফান মুক্তি দিতে গিয়ে শাহরিয়ার শাকিল যেসব সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন সেগুলো উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের যে সিঙ্গেল স্কিমগুলাতে আছে সেগুলোতে কত টাকা টিকিট বিক্রি হচ্ছে তা ঠিকঠাক হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না। হলে প্রতিনিধি পাঠানো হয় প্রতিনিধিকে পাহারা দেওয়ার জন্য আরেকজন প্রতিনিধি পাঠাতে হয়।
এতে করে সরকার ঠিকভাবে ট্যাক্স পাচ্ছে না। সরকার যদি বক্স অফিস ও ই টিকেটিং ব্যবস্থা করে দেয়, তাহলে সঠিক ট্যাক্স পাবে এবং আমরা ব্যবসা করতে পারব।
শাহরিয়ার শাকিল বলেন, যে রেসিওতে সিনেপ্লেক্স টাকা দেয় ১০ কোটি টাকা ব্যবসা করতে হলে ৬০ কোটি টাকার টিকিট বিক্রি করতে হয়। পরস্পরের আলোচনায় যদি আমরা এই হিসাবটা ঠিক করতে পারি তাহলে উভয় পক্ষই লাভবান হবে।
এছাড়া ছবি মুক্তি দিতে পাইরেসি দিতে গিয়ে পাইরেসির ভয় পেতে হয়। এতে করে নতুন সিনেমাটা ধ্বংসের মুখে চলে।যায়।
‘চলচ্চিত্রের চাঁদমারি : প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সংলাপে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রযোজক আবদুল আজিজ।
তিনি বলেন, সরকার প্রতিবছর বিশ কোটি টাকা সিনেমায় অনুদান দিচ্ছে। এটা বন্ধ করে তিনটি সিনেপ্লেক্স করে দেওয়া উচিত। এতে ইন্ডাস্ট্রি টিকবে। যেভাবে অনুদান দেওয়া হয় এতে ইন্ডাস্ট্রির কোনো লাভ হয় না। পাশাপাশি যৌথ প্রযোজনার নিয়মগুলো চেঞ্জ করা উচিত। এতে করে বড় বাজেটের সিনেমা নির্মাণ করা সম্ভব হবে। যৌথ প্রযোজনার সিনেমাগুলো দিয়েই আমরা অতীতে দেখেছি দর্শকের দল নেমেছে।
এই সংলাপে আরো উপস্থিত ছিলেন পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াত, শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সিনেপ্লেক্স এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর খালেদ আহমেদ শাম্মি, তারিক আনাম খান, রায়হান রাফি, গিয়াস উদ্দিন সেলিম আরিফুর রহমান (সদস্য, চলচ্চিত্র বিষয়ক জাত পরামর্শক কমিটি, নির্মাতা ও প্রযোজক)
তিতাস জিয়া (অভিনেতা, শিক্ষক, সদস্য – পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান কমিটি), মোঃ মনিরুজ্জামান খান (নির্বাহী প্রকৌশলী, বিএফডিসি)।
You must be logged in to post a comment.