রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:১১ পূর্বাহ্ন

দর্শকদের কাছে বেশ সাড়া ফেলেছে “পাপবাজার”

ফোরাম প্রতিবেদক / ৪০৭ জন দেখেছেন
আপডেট : জুলাই ২২, ২০২২
দর্শকদের কাছে বেশ সাড়া ফেলেছে "পাপবাজার"
দর্শক ফোরামের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন

২২ জুলাই অন্তর্জালে মুক্তি পেয়েছে এ্যাক্টর’স ল্যাব নিবেদিত কাজী রাকীব প্রযোজিত এবং অনিক কান্তি সরকার পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র “পাপবাজার” । মুক্তির পর থেকেই “পাপবাজার” দর্শকদের কাছে বেশ সাড়া ফেলেছে।

মানব সভ্যতা সময়ের বিবর্তনে এগিয়ে গেলেও নারীদের ফাঁদে ফেলে যৌন পেশায় নিয়োজিত করার অপরাধের কোন পরিবর্তন ঘটেনি। নারী নির্যাতন, মানব পাচার ও মাদকের নেশায় যুব সমাজের অবক্ষয়ের বিষয় উপজীব্য করে নির্মিত হয়েছে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র “পাপবাজার”।

এ্যাক্টর’স ল্যাব নিবেদিত, কাজী রাকীব প্রযোজিত ও অনিক কান্তি সরকার পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র “পাপবাজার” । কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছেন নোমান হোসেন এবং অনিক কান্তি সরকার।

বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আলভি মামুন, কাজী নওশাবা আহমেদ, কাজী রাকীব, কাজী আনিসুল হক বরুণ, নোমান হোসেন, আফরোজা হোসেন, তাহসিনা ফেরদৌস রিনিয়াসহ আরো অনেকে।

স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র “পাপবাজার” এর টাইটেল সং ‘দুনিয়াটা পাপের বাজার’। গানটি লিখেছেন শাহীন রেজা রাসেল, কণ্ঠ দিয়েছেন জাহিদ মোহাম্মদ,সুর ও সঙ্গীতায়োজন করেছেন এস.এম নাসির ।

চলচ্চিত্রটিতে চিত্রগ্রাহকের দায়িত্বে ছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত কমল চন্দ্র দাস। সম্পাদনা ও রঙ বিন্যাস করেছেন ফকরুল ইসলাম। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ও সাউন্ড ডিজাইন করেছেন ভারতের টলিগঞ্জের আয়ুশ দাস।

দর্শকদের কাছে বেশ সাড়া ফেলেছে "পাপবাজার"

গল্পে কেন্দ্রীয় চরিত্র মেহুল । বিদেশে ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাম থেকে শহরে এনে বিক্রি করে তারই আপন চাচা রফিক। পাপের এই শহরে ভালোমন্দ বুঝে উঠার আগেই শক্তিধর ও ক্ষমতাশীল এক নারীপাচার চক্র মেহুলকে বন্দী করে রাখে। জুয়া ও মাদকের নেশা্র বলি হয় মেহুল। তার উপর চলতে থাকে শারীরিক ও যৌন নির্যাতন।

ভালোবাসার টানে মেহুলকে খুজতে খুজতে শহরে আসে মুকুল। তারপর একে একে সব বাঁধা পেড়িয়ে মেহুলের খোঁজ পেলেও মেহুলকে বাঁচাতে নিজেই জড়িয়ে পরে বাঁচা মরার লড়াইয়ে।

পাপবাজার গল্পে, নারী নির্যাতন, মানব পাচার ও মাদকের নেশায় যুব সমাজের নানান দিক তুলে ধরা হয়েছে। “পাপবাজার” চলচ্চিত্রটি সম্পর্কে জানতে চাইলে পরিচালক অনিক কান্তি সরকার বলেন, “আমাদের দেশে চলচ্চিত্র নির্মাণের সীমাবদ্ধতা অনেক, শত প্রতিকূলতার মাঝেও দর্শকদের ভাল একটি কাজ উপহার দিতে চেয়েছি। আমাদের শিল্পী ও কলাকুশলীরা দীর্ঘদিন ধরে পরিশ্রম করেছেন কাজটির পেছনে। দর্শক ও সমালোচকদের ভালবাসা পেলে আমাদের পরিশ্রম সার্থক”।

প্রযোজক কাজী রাকীব বলেন , বাংলা চলচ্চিত্র একটি সংকটময় সময় অতিক্রান্ত করছে । অর্থলগ্নীকারিরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে । সেখানে পাপবাজার একটি পরীক্ষামূলক কাজ ছিল । শতভাগ পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করার শতভাগ চেস্টা করেছি । কেমন করেছি তা দর্শকদের প্রতিক্রিয়া বলে দিচ্ছে ।এই পরীক্ষামূলক কাজে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে গল্প, শিল্পী কলাকুশলী সঠিক নির্বান হলে আন্তর্জাতিক মানের সিনেমা আমরা বানাতে সক্ষম । পরবর্তী লক্ষ্য পুর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চচিত্র । এরই মধ্যে গল্প বাছাই হয়েছে চলছে চিত্রনাট্যের কাজ ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

এ বিভাগের আরো খবর

২১ জুন-23 অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান