জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে নিয়মিত কাজ করে যেতে হয় না। দর্শকদের মনে একবার জায়গা করতে পারলে সেই স্থান অক্ষুন্ন থাকে, সেটা প্রমাণ করে দিয়েছেন অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক সময় টলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন ছিলেন তিনি। বাংলার পাশাপাশি চুটিয়ে কাজ করেছেন ওড়িয়া ছবিতেও।
কিন্তু এখন আর কোনো সিনেমায় দেখা যায় না রচনাকে। তবে ছোটপর্দার অত্যন্ত জনপ্রিয় মুখ তিনি। দীর্ঘদিন ধরে ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ এর সঞ্চালনা করেই লাইমলাইট ধরে রেখেছেন তিনি। রচনার দৌলতেই বাংলা টেলিভিশনের সবথেকে জনপ্রিয় নন ফিকশন শোয়ের মধ্যে একটি হয়ে উঠেছে দিদি নাম্বার ওয়ান।
ইউটিউবে উন্মুক্ত হয়েছে ওয়েবফিল্ম ‘হোটেল নিরিবিলি’
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, যে নামে তাঁকে একডাকে চেনে বাংলা তথা উড়িষ্যার সিনেপ্রেমীরা, সেটা কিন্তু অভিনেত্রীর আসল নাম নয়। অভিনয়ে পা রেখে অনেকেই বদলে ফেলেন নিজেদের আসল নাম। টলিউড থেকে বলিউড কোথাওই এর ব্যতিক্রম নেই। নেপথ্যে রয়েছে বিভিন্ন কারণ। কিন্তু রচনার আসল নাম কী আর কেনই বা পিতৃদত্ত নাম বদলাতে হয়েছিল তাঁকে?
রচনা নিজেই একবার জানিয়েছিলেন সমস্ত প্রশ্নের উত্তর। এই নামটা তিনি পেয়েছিলেন অভিনয় কেরিয়ারে আসার পর। নামটা রেখেছিলেন অভিনেতা পরিচালক সুখেন দাস। রচনার পিতৃদত্ত নাম ঝুমঝুম বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এই নামে এখন আর প্রায় কেউই চেনে না তাঁকে।
ব্র্যাড পিট সন্তানদের শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছিলেন: জোলি
নাম পরিবর্তনের নেপথ্যে এক মজার কাহিনি আছে যা নিজের মুখেই বলেছিলেন রচনা। আসলে সুখেন দাস তাঁর নামটা শুনে আপত্তি প্রকাশ করেছিলেন। তাঁর মনে হয়েছিল, ঝুমঝুম নামটা শুনলে অনেকে অভিনেত্রী মুনমুন সেনের মেয়ে ভাবতে পারেন তাঁকে। তাই নাম পরিবর্তন এবং আনকোরা নতুন নামের খোঁজ।
আর এই খোঁজ করতে রবীন্দ্র রচনাবলীতেই ভরসা রেখেছিলেন পরিচালক। কিন্তু উপন্যাসের নায়িকাদের নাম পছন্দ না হলে সুখেন দাসের চোখ আটকায় বইয়ের মলাটে। চোখের সামনেই অভিনেত্রীর নতুন নাম, রচনা। সেই থেকেই ঝুমঝুম বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচিত হন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় নামে। এই নামে টলিউড থেকে ওড়িয়া ইন্ডাস্ট্রি আর এখন দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চ কাঁপাচ্ছেন রচনা।
You must be logged in to post a comment.