বড় টুর্নামেন্টে স্পেনের পেনাল্টি ভাগ্য যেন কোনভাবেই সফলতার মুখ দেখছে না। ইউরো ২০২০ এ ইতালির কাছে সেমিফাইনালে পেনাটি শুটআউটে হেরে বিদায় নিয়েছিল লুইস এনরিকের দল। নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ এ ড্র অবস্থায় ছিল। ২০১৮ বিশ্বকাপেও পেনাল্টিতে কপাল পুড়ে স্পেনের। সেবার রাশিয়ার সঙ্গে দ্বিতীয় রাউন্ডে পেনাল্টি শুটআউটে ৪-৩ ব্যবধানে হেরে বিদায় নেয় তারা। এবারও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলো। এবার মরক্কোর সঙ্গে পেনাল্টি শুটআউটে হেরে বিদায় নিল স্পেন।
মরক্কোর বিপক্ষে মাঠে নামার আগে স্পেন কোচ লুইস এনরিকে পেনাল্টিতে দুর্বলতার কথা স্বীকার করে জানিয়েছিলেন তার দল অন্তত ১ হাজার পেনাল্টি প্র্যাকটিস করেছে দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে নামার আগে।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) জনপ্রিয় ওয়েবসাইট গোলডটকম একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
এনরিকে বলেছিলেন, আমরা নিজেদের কাজটা ভালোই করেছি। একবছর আগে সবাইকে জানিয়েছি আমাদের অন্তত ১ হাজার পেনাল্টি প্রাকটিস করতে হবে। পেনাল্টিতে নার্ভ ধরে রাখা কষ্ট। আমরা প্রত্যেকবার প্রাকটিস শেষ করে পেনাল্টির প্র্যাকটিস করেছি।
লুইস এনরিকের এত অনুশীলন যেন একবারেই ভেস্তে গেল। মরক্কোর বিপক্ষে কোনভাবেই তারা এটিকে কাজে লাগাতে পারলো না। বৌনর দৃঢ়তায় তিনটি পেনাল্টি নিয়ে একটিতেও গোল করতে পারেনি স্পেন। খেলা পেনাল্টি শুটআউটে গড়ালে প্রথম শটটি বারে মারেন পাবলো সারবিয়া।
কার্লস সোলারের দ্বিতীয় শটটি বামে ঝুঁকে রুখে দেন তিনি। বুসকেটসের নেয়া তৃতীয় শটটিও রুখে দেন এই মরক্কোর গোলরক্ষক। অনুশীলনে ঘাম ঝরালেও মাঠে তার প্রতিফলন না হলে সেটা যে বৃথা অনুশীলন ছিল সেটিরই প্রমাণ করলেন স্পেনের খেলোয়াড়রা।
আর এরই সঙ্গে বিশ্বকাপের একমাত্র দল হিসেবে পেনাল্টি শুট আউটে কোনো গোল না করার লজ্জার রেকর্ড গড়লো স্পেন!
You must be logged in to post a comment.